বন্ধ হচ্ছে না পেঁয়াজ আমদানি
কৃষিসচিব মো. ছায়েদুল ইসলাম জানালেন, এ মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কোনো পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই। আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় কৃষিসচিব এমন তথ্য জানান। সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি।
বিজ্ঞাপন
মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। এ সময় জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
কৃষিসচিব বলেন, আপনারা জানেন কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছিল। তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি ওপেন করা হয়। কারণ সাময়িক এটা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আইপি ওপেন করার প্রতিফলন আমরা বাজারে দেখতে পারছি। এখন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম কমে যাচ্ছে। তবে এখানে আপনারা দেখে থাকবেন আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম কমেছে। কিন্তু আমাদের দেশি পেঁয়াজ, চাষিরা যেটা মাঠ থেকে তুলছে সেটার ভালো দাম আছে।
পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যমে দেখলাম ২৭, ২৮ ও ২৯ তারিখের পর আইপি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনাদের অবগতির জন্য যানাতে চাই যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আইপি ইস্যু করা বা বন্ধ করা এ রকম কোনো নির্দেশনা বা পরিকল্পনা আমাদের নেই।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছে। অন্যদিকে, সামনে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।
সচিব বলেন, আমরা মনে করি সামনে রমজান মাস এই রমজান মাসে আমাদের সব মুসল্লি ধর্মপ্রাণ মানুষ সবাই মিলে পালন করি। ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার সেভাবে উদযাপন করি। সেটি যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে করতে পারি। সেটা আমরা মাথায় রাখছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুধু অর্থনীতি নয়, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম ছিল অতীতেও। যদিও আমাদের জিডিপিতে কৃষির অবদান প্রায় ১৪ ভাগ।