পাঞ্জাবের নতুন গভর্নর উমর সরফরাজ
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নতুন গভর্নর হিসেবে উমর সরফরাজ চিমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে চৌধুরী মুহাম্মদ সারোয়ারকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয় ইমরান প্রশাসন।
এদিকে অনাস্থা ভোটের আগে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আসাদ কায়সারকে অপসারণের জন্য একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে বিরোধীরা। ১১০ জনের স্বাক্ষরও রয়েছে সেই প্রস্তাবে।
বিজ্ঞাপন
অনাস্থা ভোট শুরু হওয়ার আগে বিক্ষোভ, জমায়েত বন্ধ করতে ইসলামাবাদে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। স্থানীয় জেলা প্রশাসনের থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে।
অনাস্থা ভোটের আগে নাম না করেই ইমরান খানকে আক্রমণ করলেন নওয়াজ শরিফেরে মেয়ে মারিয়াম নওয়াজ।
বিরোধী নেতাদের দাবি, অন্তত ১৭৫টি ভোট তাদের পক্ষে পড়বেই, যা ম্যাজিক সংখ্যা ১৭২-এর চেয়ে বেশি। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের দাবি, বিরোধী এবং বিক্ষুব্ধ মিলে সবাই ভোট দিলে সংখ্যাটা ১৯৯-এ পৌঁছে যেতে পারে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসন সংখ্যা ৩৪২।
খোদ ক্ষমতাসীন পিটিআই-এর ১২ জনের বেশি ভিন্নমতাবলম্বী ছাড়াই ম্যাজিক সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। এরা ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইমরান খান নিশ্চিত পরাজয়ের মুখেও হাল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি শনিবার রাতে এক টিভি চ্যানেলের প্রশ্নোত্তরে বলেন, শেষে মুহূর্তে কিছু চমক আসবে। তিনি শেষ বল পর্যন্ত খেলবেন। অনাস্থা প্রস্তাবকে তিনি বিদেশিদের প্ররোচনায় দুনীতিগ্রস্ত বিকিয়ে যাওয়া বিরোধীদের চাল বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। ইমরান জনগণকে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামারও আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক দূর্দশা ইমরানের সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস ও পতন ডেকে আনার অন্যতম প্রধান কারণ। তার দল পিটিআই এর ক্ষমতায় আসার পেছনে যে প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল তাদের সমর্থন চলে যাওয়াও এজন্য দায়ী বলে অনেক পর্যবেক্ষকের ধারণা।
শনিবার ইউক্রেন নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়ার বক্তব্যে ইমরান সরকারের নীতির সমালোচনার জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কয়েক মাস আগে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের নিয়োগ নিয়ে মতান্তর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের বড় দ্বন্দ্বের সূচনা হয় বলে মনে করা হয়।