বিএনপির দৃষ্টিসীমা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির দৃষ্টিসীমা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারে চোরাগলি খোঁজে তারা যে আলো দেখবে না এটাই স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আলোহীন-আশাহীন নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি আর হতাশায় নিমজ্জিত বিএনপির নেতারা ঘরে বসে বসে দুর্ভিক্ষের কল্পকাহিনি বানাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
‘দেশের চারদিকে দুর্ভিক্ষ’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ভিক্ষ আসলে দেশে নয়, দুর্ভিক্ষ বিএনপিসহ কিছু বিরোধীদলীয় নেতার মানসিকতায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, মানুষ খেয়ে-পরে ভালো আছে এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে জনগণ খুশি। বাংলাদেশের অর্জনের গল্প বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে এখন প্রশংসিত, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এসব দেখতে পায় না। তারা পূর্ণিমার রাতে অমাবশ্যার অন্ধকার দেখে।
জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি এ দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে আসছে- এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দেশের মানুষ ভালো করেই জানে বিএনপির ইতিহাস হত্যা, ষড়যন্ত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিপীড়নের ইতিহাস এবং বন্দুক ও বুটের তলায় জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি প্রতিহিংসার আগুনে ভস্মীভূত করেছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ।
বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় কিছু নেতা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বলে তাদের আচার-আচরণে বিদ্বেষের সুর ফুটে উঠেছে- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা না করে তারা সংসদে ও সংসদের বাইরে অন্ধ বিদ্বেষে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা ও নির্যাতন-নিপীড়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মমতা দেখেছে, দেখেছে ৩ নভেম্বরের অমানবিকতা।
গ্রেনেড হামলাসহ ২০ বারের অধিক শেখ হাসিনাকে হত্যার অপপ্রয়াস চালাতে দেখেছে, দেখেছে ১৫ আগস্ট উৎসব করে কেক কাটা, এমন দুঃস্মৃতি স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বারবার, হন্তারকদের চিনেও অগণতান্ত্রিক কিংবা বেআইনি কোনো পথে যায়নি আওয়ামী লীগ।