এবার মাদক মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
রাজধানীর রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত দশ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে গত দুই দিনে অস্ত্র ও অর্থপাচারসহ তিন মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট। দুদকের মামলায় জামিন পেলে সম্রাটের কারামুক্তিতে কোন বাধা থাকবে না।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গতকাল রবিবার অর্থ পাচার মামলায় আসামি সম্রাটকে আদালতে তোলা হয়। এসময় তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিক রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত দশ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন আসামি সম্রাটের তিন দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এর আগে অস্ত্র মামলায় মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন সম্রাটের আইনজীবী। শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরের দিন ৭ অক্টোবর র্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। একই বছরের ১২ অক্টোব রমনা থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন।
সম্রাটের বিদেশভ্রমণের পর্যালোচনামূলক তথ্যও সিআইডি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুবার এবং হংকংয়ে একবার যাতায়াত করেছেন। আর তার অপরাধকর্মের সহযোগী আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের পঁচিশবার যাতায়াত করেছেন।