রবীন্দ্রনাথ মূলত আমাদের পূর্ববঙ্গের মানুষ : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পূর্ববঙ্গের মানুষ উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পূর্ববঙ্গ বা বাংলাদেশে অবস্থান তাকে পরিপূর্ণ রবীন্দ্রনাথ করেছে। তাকে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড় আত্মীয়তার বন্ধনে বেঁধেছে। এদেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কবির স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থাপনা। জমিদারি পরিচালনা করতে এসে এসব জায়গায় থেকেছেন কবি, রচনা করেছেন মহামূল্য সাহিত্যকর্ম।
বিজ্ঞাপন
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ পূর্বাচলে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘উৎসারিত আলো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কবির স্মৃতিবিজড়িত অন্যতম স্থান শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। ১৮০৭ সালে রামলোচন ঠাকুরের উইল সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর এই এলাকার জমিদারির মালিকানা পান। জমিদারি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে সর্বপ্রথম তিনি শিলাইদহে আসেন ১৮৮৯ সালে। কৈশোর এবং যৌবনে প্রায়ই তিনি জমিদারি দেখভাল করতে শিলাইদহ আসতেন, থাকতেন এ কুঠিবাড়িতেই। ১৮৯১ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে অল্প বিরতিতে কবি নিয়মিত কুঠিবাড়িতে অবস্থান করেছেন। এ বাড়িতে বসেই কবি রচনা করেছেন তাঁর অমর সৃষ্টি সোনারতরী, চিত্রা, চৈতালী, কথা ও কাহিনী, ক্ষণিকা, নৈবদ্য ও খেয়া কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ কবিতাসহ অনেক উল্লেখযোগ্য রচনা। কবিগুরু যে কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন সেই ‘গীতাঞ্জলী’র ইংরেজি অনুবাদও শুরু করেন এখানেই।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক সচিব ও আইজিপি নুর মোহাম্মদ এমপি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শামা রহমান, অণিমা রায় প্রমুখ। আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা। এ ছাড়া স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) এর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা, গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।