টিভি বিতর্কেও জিততে মরিয়া ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীরা
টেলিভিশনে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাস। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভিন্ন মত তুলে ধরার সময় তারা একে অপরকে ছেড়ে কথা বলেননি।
বিবিসি জানিয়েছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা দুই প্রতিযোগী ঘণ্টাব্যাপী বিবিসির বিশেষ আয়োজনে একে অপরকে আক্রমণ করতে পারতপক্ষে ছাড় দেননি।
লিজ ট্রাসকে ঋষি সুনাক বলেছেন, তার ট্যাক্স কাটার পরিকল্পনা লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে রক্ষণশীলদের এই মূল্য চুকাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তবে ট্রাস বলেছেন, ঋষি সুনাকের দ্বারা নিয়ে আসা কর বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে মন্দার দিকে নিয়ে যাবে।
লিজ ট্রাস বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক বাতিল করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ঋষি জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তিনি কর ছাড় দেবেন না।
ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে আগে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নেবেন। তিনি মনে করেন, এশিয়ার এই ‘সুপার পাওয়ার’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তো বটেই, তার দেশের জন্যও ক্ষতিকর। লিজ ট্রাস দিন কয়েক আগে ঋষির বিরুদ্ধে চীনের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখানোর অভিযোগ করেছিলেন।
চীনের সংবাদপত্রেও ঋষির প্রশংসা করে লেখা হয়েছিল―তিনি ব্রিটেন এবং চীনের সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝেন। যা জানার পর থেকেই ব্রিটেনের পার্লামেন্টের চীনবিদ্বেষীরা গেল গেল রব তুলেছিলেন।
গতকাল সোমবার ঋষি সেসব সমালোচনারই জবাব দিলেন বলে মনে করছেন ব্রিটেনের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে একই সঙ্গে তাদের অনেকের মত, প্রতিদ্বন্দ্বীর সমালোচনার জবাব দিতে যেভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ঋষি, তাতে তার যুদ্ধ জয়ের মরিয়া চেষ্টাও কিছুটা প্রকাশিত হয়ে পড়েছে।
ঋষি বলেছেন, ব্রিটেনের সংস্কৃতিকে যেভাবে ক্রমশ প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে চীন, তা প্রথম দিন থেকে বন্ধ করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি কী কী করবেন, তারও লম্বা তালিকা দিয়েছেন ঋষি।
তার মধ্যে অন্যতম হলো―চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠনগুলোকে বের করে দেওয়া।
ঋষির সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে জেতার এই মরিয়া চেষ্টা ঋষির বিপক্ষেও যেতে পারে।