কমনওয়েলথ গেমসে স্কটিশ বিপ্লব
কমনওয়েলথ গেমসের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অসাধারণ একটা দিন কেটেছে স্কটল্যান্ডের। আলেকজান্ডার স্টেডিয়ামে পদক লড়াইয়ের শেষ দিনে আরো দুটি পদক জিতেছে স্কটিশরা। ১৫০০ মিটারে তাদের সোনা এনে দিয়েছেন লরা মিওর। ৮০০ মিটারে তিনি জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ।
ওই হতাশা পেছনে ফেলে ১৫০০ মিটারে সোনা জিততে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘আমি গতি পেয়ে গিয়েছিলাম। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। এবং আশা করেছি কেউ যেন আমাকে ছুঁতে না পারে। কিছুটা পরিশ্রান্ত ছিলাম, তাই চেষ্টা করেছি নিজের লাইনে যতটা সম্ভব দ্রুত দৌড়াতে। ’
৪ মিনিট ২.৭৬ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন লরা মিওর। ৪ মিনিট ৪.১৪ সেকেন্ডে দৌড়ে এই ইভেন্টে রুপা জিতেছেন নাইজেরিয়ার সিয়ারা ম্যাগিয়ান। আর ৪ মিনিট ৪.৭৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে ব্রোঞ্জ জেতেন অস্ট্রেলিয়ার আবে ক্যাল্ডওয়েল। ওদিকে ৫০০০ মিটারে রুপা জিতেছেন তাঁর সতীর্থ এলিস ম্যাককোলগান। ১০০০০ মিটারে তিনি জিতেছিলেন সোনা। নিজের এ অর্জনে যেন স্বপ্নের ঘোরে আছেন এলিস, ‘একটি সোনা এবং একটি রুপা জেতা স্বপ্নের মতো। লরা মিওরের একটি সোনা ও রুপা জয়ও আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ’
এলিস ও মিওরের সোনালি হাসিতে কমনওয়েলথ গেমসে নিজেদের ইতিহাসে সেরা একটা আসর কাটাল স্কটল্যান্ড। ১২টি সোনা ও ১১টি রুপাসহ তারা বার্মিংহামে পদক জিতেছে মোট ৪৯টি। তালিকায় তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে। স্কটল্যান্ডের ওপরে আছে শুধু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ২০১৪ সালে গ্লাসগোর বাইরে এটাই কমনওয়েলতে তাদের সেরা সাফল্য। বার্মিংহামে মিওর-এলিসদের সাফল্য উচ্ছ্বসিত স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন। ২০২২ নতুন প্রজন্মের অ্যাথলেটদের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে বিশ্বাস তাঁর। টিম স্কটল্যান্ডকে অভিনন্দন জানিয়ে স্টারজিওন বলেন, ‘টিম স্কটল্যান্ড সত্যিকার অর্থে দারুণ করেছে বার্মিংহামে। পদকজয়ী সব অ্যাথলেটকে বড় ধন্যবাদ। তোমরা আমাদের গর্বিত করেছ। আমার বিশ্বাস এই আসরের অ্যাথলেটদের সাফল্য ভবিষ্যতে আমাদের অ্যাথলেটদের অনুপ্রেরণা দেবে। ’