বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » জেলে বসে ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’ পড়তে চাইলেন পার্থ

জেলে বসে ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’ পড়তে চাইলেন পার্থ 

110909graJPG800x483

টাকা মাটি, মাটি টাকা। অর্থই যে আসল সম্পদ নয়, তা বোঝাতে এমন কথা বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এখন সেই রামকৃষ্ণের বাণী পড়েই দিন কাটাতে চান অর্থ উদ্ধার-কাণ্ডে জড়িয়ে পড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক শিল্পমন্ত্রীও।

কিন্তু এখন তিনি কারাবন্দি। আর সেই আঁধারে আলোর খোঁজে রামকৃষ্ণেই ভরসা রাখতে চান পার্থ।

জেলে খাওয়া-ঘুম ছাড়া তেমন কাজ নেই। মাঝেমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্মকর্তাদের একঘেয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বা না দেওয়া। বাকি সময়টা ‘আধ্যাত্মচেতনা’ বাড়াতে চান পার্থ।

সে কারণে কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করে আনিয়ে নিয়েছেন ধর্মীয় গ্রন্থ। রামকৃষ্ণ শরণ নিয়ে অমৃতের খোঁজের পাশাপাশি জেল-জীবনে সাহিত্যেও ডুব দিতে চান প্রথমে অর্থনীতি ও পরে বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র পার্থ। তার ইচ্ছা শুনেই জেলে পার্থের জন্য পাঠানো হয়েছে ‘মহাশ্বেতা দেবী অমনিবাস’। ‘হাজার চুরাশির মা’ পড়বেন পার্থ। ‘স্তন্যদায়িনী’, ‘অরণ্যের অধিকার’ও পড়বেন।

মহাশ্বেতার কলমে উঠে আসা লোধা, শবরদের নিয়ে পড়াশোনা করবেন। পার্থের সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে সেই বই। তবে সেই বই পেয়ে পার্থ এখনো পড়া শুরু করেছেন কি না তা জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি, আবদার করে আনানো খাতা-কলম ব্যবহার শুরু করেছেন কি না!

সেখানে তিনি নিজের প্রতিদিনের কথা লিখবেন নাকি জেল-জীবনের কথা কিংবা ফেলে আসা সময়টাই কাগজ-কালি-মন দিয়ে ধরে রাখবেন; তা কেবলই পার্থ জানেন।

ছেলেবেলায় কিছুদিনের জন্য পার্থ লেখাপড়া করেছেন এমন এক পরিবেশে, যেখানে কথামৃতের চর্চা ছিল। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সাবেক শিক্ষার্থী পার্থ অবশ্য পরবর্তী জীবনে ছিলেন বেসরকারি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মী।

তবে লেখাপড়ার প্রতি তার টান বরাবরের বলেই জানা যায়। ঘনিষ্ঠরা বলেন, শুধু পড়ার প্রতি ঝোঁক নয়, নিজস্ব বইয়ের সংগ্রহও বেশ ভালো। দল তাকে মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদক করে। আর পাঁচটা বন্দির মতোই পার্থের জেল-জীবন কাটছে।

গত শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ইডির বিশেষ আদালত। তার পর থেকে আপাতত তার ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক নম্বর ব্লকের দুই নম্বর সেল। যেখানে ছোট একটা ফ্যান, কয়েকটা কম্বল তার সম্বল। অতিরিক্ত বলতে একটি খাট পেয়েছেন তিনি। তবে তার মধ্যেই জায়গা করে নেবে পছন্দের বই। খাতা, কলমও।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone