মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী গমন শুরু
অবশেষে শুরু হলো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে প্রথম ব্যাচের ৫৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের কুয়ালালামপুর পৌঁছনোর কথা রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার পরপরই এই ৫৩ কর্মী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। কিছুদিনের অপেক্ষার পর মালয়েশিয়া যেতে পেরে তাঁদের চোখে-মুখে ছিল খুশির আমেজ।
বিজ্ঞাপন
এসব কর্মী যাচ্ছেন ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে।
বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক জানায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিরের শুভ জন্মদিনে বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে এই ৫৩ কর্মীর প্রথম দল একে-৭০ ফ্লাইটে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
কর্মীদের উৎসাহ ও বিদায় জানানোর জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিদায়ি অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদসহ প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের সদস্য মিজানুর রহমান ও বিএমইটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, এই কর্মীরা মালয়েশিয়ার জিমত জয়া কম্পানিতে ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসেবে চাকরি করবেন। তাঁদের বেতন এক হাজার ৫০০ রিংগিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ হাজার টাকা)। শর্ত অনুযায়ী তাঁদের চুক্তি তিন বছরের জন্য, বিমান ভাড়া এক পথ ফ্রি, বাসস্থান ও যাতায়াত ফ্রি, তবে খাবার নিজের। যাত্রার আগে বিমানবন্দরে কর্মী কাইয়ুম গাজী বলেন, ‘আমার বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য যেতে পেরে আমি আনন্দিত। ’
প্রায় একই ধরনের অনুভূতি জানালেন ইমরান হোসাইন, আমির হামজা, সজীব মিয়া, রাজু মিয়া, আসিফ মিয়া, আলামিন, হযরত আলী, মনিরুল ইসলাম, আল মামুনসহ অন্যরাও।
২০১৮ সালের আগস্টেই মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ বন্ধ করার ঘোষণা আসে। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে কর্মী নিয়োগে নতুন সমঝোতা চুক্তি করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সেই চুক্তির আওতায় এই প্রথম কর্মী গেল।