রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিনশ বন্দি বিনিময়
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় পরিসরে বন্দি বিনিময় হলো। তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় যুদ্ধরত দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ ৩০০ জনের মতো বন্দি বিনিময় হয়েছে।
মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও মরক্কোসহ কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছে।
রুশপন্থী বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি থাকা পাঁচজন ব্রিটিশ নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করাসহ নানা অভিযোগে তাদের বন্দি করা হয়েছিল। সৌদি আরবের ‘প্রকৃত শাসক’ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায় ওই পাঁচজনসহ মোট দশজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন ব্রিটিশ, দুজন মার্কিন, একজন ক্রোয়াট, একজন মরোক্কান ও একজন সুইডিশ রয়েছেন। তাঁরা এরই মধ্যে সৌদি আরব পৌঁছেছেন। সেখান থেকে সবাইকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হবে। পাঁচ ব্রিটিশ ইতিমধ্যেই স্বদেশে পৌছেছেন বলে জানানো হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। সর্বশেষ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকেও এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে দেখা গেল।
এর আগে খবরে বলা হয়, রাশিয়া সব মিলিয়ে ২১৫ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন সামরিক কমান্ডার রয়েছে। এসব বন্দির বিনিময়ে ৫৫ জন রুশ নাগরিক এবং রুশপন্থী বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভ থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে রুশপন্থী ইউক্রেনীয় নেতা ভিক্তর মেদভেদচুক রয়েছেন। ইউক্রেনীয় এই আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ ছিল।