বিএনপির রাজবন্দি মুক্তি পরিষদ গঠন
প্রধান প্রতিবেদক : কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্ত ও আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘রাজবন্দি মুক্তি পরিষদ’ গঠন করেছে বিএনপি। এর দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন দলের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ।
দলীয় সূত্র জানায়, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে যে সকল নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে, তাদের আইনী সহায়তা দিতেই রাজ বন্দি মুক্তি পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, মানবিক কারণেই এ উদ্যোগ।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজবন্দি মুক্তি পরিষদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূলকে পাশে পেতে এই পরিষদ গঠন করা হয়। কেননা রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রচলিত আছে ‘দল সবার আর মামলা যারটা তার’।
সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পরিষদের পক্ষ থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদলসহ বিভিন্ন কারাগারে আটক ২৭৯ জন নেতা-কর্মীকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আপাতত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগারে যারা আটক রয়েছেন তাদেরকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে দেশব্যাপী এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে চলতি কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তখন বেগম জিয়া কারাগার থেকে এ যাবৎ কতজন বের হয়েছে, এবং কতজন কারাগারের ভিতরে রয়েছেন। তাদের মামলার বর্তমান পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে। তারা সঠিকভাবে আইনী সহায়তা পাচ্ছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে দায়িত্বশীলদের কাছে জানতে চান।
সূত্র মতে, আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট আহমদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, এডভোকেট খোরশেদ আলম, এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
এদিকে কেবল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে নয়, ক্ষমতাসীন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পূর্ববতী ৫ বছরে বিএনপির যে সমস্ত নেতা-কর্মী খুন ও গুম হয়েছে তার একটি সঠিক তালিকা প্রনয়নের জন্য দপ্তরে দায়িত্বশীল নেতাকে সহায়তা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যা খুব দ্রুত একটি কনভেনশনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া দেশবাসীর সামনে উত্থাপন করবেন।