বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ’

‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ’ 

174451Untitled-3

উন্নত জীবনের লক্ষ্যে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে তারা আরো বলেছেন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিবেচনায় নিয়ে উত্তম কৃষি, উত্তম পুষ্টি ও উন্নত জীবনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ রবিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়, ধানমণ্ডি কচিকণ্ঠ হাই স্কুল, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ধানমণ্ডির ২৭ নম্বর মোড় থেকে আবাহনী মাঠ পর্যন্ত সচেতনতামূলক র‌্যালির আয়োজন করে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় র‌্যালির আগে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নান মনির, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্ণব দাস, ধানমণ্ডি কচিকণ্ঠ হাই স্কুলের শিক্ষক ইয়ামিন মল্লিক প্রমূখ।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরপরও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি কৃষি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ছাড়া নগর এলাকায় ছাদকৃষিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে, তেমনি নগর এলাকায় তাপমাত্রাও হ্রাস পাবে। ‘

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ‘পুষ্টির চাহিদা পূরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরাপদ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, সহায়ক উপকরণ প্রদান এবং নিয়মিত মনিটরিং করছে। গ্রামে নিরাপদ সবজি চাষ করলেও কৃষকরা সঠিক মূল্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকের বাজারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিলে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোক্তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। ‘

শিক্ষক এম এ মান্নান মনির বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে হবে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেন কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি না হয়, সেদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ‘

শিক্ষক অর্ণব দাস বলেন, ‘রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলো প্রতিদিনকার খাদ্য ক্রয়ের অন্যতম জায়গা। কিন্তু বাজারের মান ভালো না হওয়ায় খাদ্যপণ্য দূষিত হয়। যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকা এবং যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এতে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করতে কাঁচাবাজারের মান উন্নয়ন করতে হবে। ‘

শিক্ষক ইয়ামিন মল্লিক বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের সাত ধাপ অবনতি হয়েছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাবার অপচয় হয়। ‘ খাবার অপচয়রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone