প্রথম আলোর বিষয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার
আদালত প্রতিবেদক : দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেয়া রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য আগামি বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। তবে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দেয়া আদেশের বিষয়ে বুধবার শুনানি হবে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় ধার্য করেন।
আদালতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- ড. শাহদ্বীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. দিলুরুজ্জামান।
আদালত মতিউর রহমানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা আপনাকে অন্য কোনো বিষয়ে বা আপনাকে ছোট করার জন্য ডাকি নাই। আমরা আপনার কাছ থেকে দুই তিনটি কথা শুনতে ডেকেছি।’
আদালত আরো বলেন, ‘আদালত প্রসঙ্গে যে কলামটি পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে তা আপনি দেখেছেন কি না?’
জবাবে মতিউর রহমান বলেন, ‘হ্যা, আমি এ কলামটি পত্রিকায় প্রকাশ করার আগেও পড়েছি। তারপরও ছত্রিশ পৃষ্ঠার এ পত্রিকাটি আমার একার পক্ষে দেখার সুযোগ হয় না। তিনি বলেন, পত্রিকায় কোথাও কোথাও ভুল থাকতে পারে। এগুলো ইচ্ছাকৃত ভুল নয়।’
এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশে কোনো নীতিমালা আছে কি না?’
আদালতের এ প্রশ্নের উত্তরে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘হ্যা আমাদের নীতিমালা আছে। আমরা কোড অব এথিক (নৈতিকতা) মেনে চলি।’
কয়েকটি বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উদাহরণ টেনে আদালত বলেন, ‘ঐ সকল পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বা আর্টিকেল প্রকাশের দায়িত্ব স্ব স্ব লেখককে নিতে হয়।’
এ ব্যাপারে মতিউর রহমানের কাছ থেকে জানতে চান আদালত। তখন মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি আমার পত্রিকার একজন সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে এর দায় দায়িত্ব নেব না- তা বলা ঠিক হবে না।’
সর্বশেষ তিনি আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগকে হেয় করতে চাই না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে জামিন মঞ্জুরের পক্ষে।’
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেয়া রুলের জবাবের হলফনামায় তিনি নিজে স্বাক্ষর করেছেন বলেও আদালতকে জানান মতিউর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ প্রথম আলোয় ‘মিনিটে একটি আগাম জামিন কিভাবে?’ এবং ‘ছয় থেকে আট সপ্তাহের স্বাধীনতা’ শীর্ষক দুটি কলাম লেখেন পত্রিকাটির যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। এরপর ২ মার্চ আদালত অবমাননার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।