অরুণাচলে বিধ্বস্তের আগে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট
ভারতের অরুণাচলে পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট। সেনা সূত্র জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন পাইলট।
কী ধরনের যান্ত্রিক বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়েছিল হেলিকপ্টারটিতে, তা খতিয়ে দেখার জন্য ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ বসানো হতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ ভারতের অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াঙে মিগিং গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ‘রুদ্র’।
বিজ্ঞাপন
হেলিকপ্টারটিতে পাইলটসহ পাঁচজন ছিলেন।
ভেঙে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রথমে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সৈন্যরা। রাতের দিকে আরো দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
হেলিকপ্টারটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। ৬০০ ঘণ্টা ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল পাইলটের। মোট ১৮০০ ঘণ্টা হেলিকপ্টার চালানোর অভিজ্ঞতাও ছিল তার। কিন্তু তার পরেও কিভাবে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ল, তা নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে।
‘রুদ্র’ হেলিকপ্টারটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। এটি একটি ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারে রয়েছে আরডাব্লিউএস-৩০০ রাডার ওয়ার্নিং সেন্সর, এমএডাব্লিউ-৩০০ মিসাইল অ্যাপ্রোচ ওয়ার্নিং সেন্সর এবং এলডাব্লিউএস-৩১০ লেজার ওয়ার্নিং সেন্সর। এ ছাড়া এই হেলিকপ্টারটি আটটি হেলিনা ট্যাংক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র, চারটি স্বল্পপাল্লার ‘আকাশ থেকে আকাশে’ নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।