বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » ব্রিটেনে ফিরছেন বরিস, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ঋষি

ব্রিটেনে ফিরছেন বরিস, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ঋষি 

140430rishiJPG800x483

বরিস জনসন ছুটি কাটিয়ে লন্ডনে ফিরছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনি অংশ নিচ্ছেন বলে গুঞ্জন চরমে উঠেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী স্যার জেমস ডুড্রিজকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন যে তিনি ‘এ জন্য প্রস্তুত রয়েছেন’।

ঋষি সুনাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় নামার জন্য ১০০ জন কনজারভেটিভ এমপির সমর্থন পাওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ঋষি তা উতরে গেছেন।

বিজ্ঞাপন

ঋষি সুনাকও অবশ্য সরাসরি এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। এখন পর্যন্ত পেনি মর্ডান্ট একমাত্র ব্যক্তি, যিনি প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।

কনজারভেটিভ পার্টির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার না হওয়ার জন্য ঋষি সুনাককে বরিস জনসন বার্তা দিয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে। বরিসের দাবি, শুধু তার নেতৃত্বেই ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দল জয়ী হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ফের তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরতে চান বলে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের দাবি।

দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মাথায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ ট্রাসের ইস্তফার পর তার সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের তালিকায় নাম রয়েছে দুজনেরই। প্রধানমন্ত্রী পদে লিজের পূর্বসূরি বরিসের সঙ্গে ঋষিরই ‘মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ হতে পারে বলে সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি। এই পরিস্থিতিতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বার্তা’ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

একসময় কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বরিস জনসন ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই একের পর এক বিতর্কে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।

করোনাকালে বিধি ভেঙে পার্টি করার ঘটনা সামনে আসার পর ইস্তফা দিতে কার্যত বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে সেই পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে গত ৬ জুলাই বরিসের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক।

প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেও কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য এবং এমপিদের মধ্যে বরিস জনসনের অনুগামীর সংখ্যা এখনো অনেক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৭ জন এমপি রয়েছেন।

তাদের মধ্যে ৩৭ জন গতকাল শুক্রবার প্রকাশ্যে বরিস জনসনের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তবে এমপিদের সমর্থনের নিরিখে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক।

ভারতীয় বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাইকে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছেন ১০০ জনের বেশি টোরি (কনজারভেটিভ পার্টি) এমপি।

যদিও শেষ পর্যন্ত বরিস জনসন প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সাম্প্রতিক একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে কনজারভেটিভদের হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে লেবার পার্টি।

ওই সমীক্ষায় শাসকদলের নেতাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন বরিস জনসন। দলকে ক্ষমতায় ফেরানোর আশায় শেষ পর্যন্ত টোরি এমপিদের বড় অংশ তার পাশে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেন টোরি পার্লামেন্ট সদস্যরা। গত ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস ইস্তফা দেওয়ার পর পাঁচ দফায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের সদস্যদের ভোটাভুটিতে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস এবং ঋষি সুনাকের নাম চূড়ান্ত হয়েছিল।

প্রত্যেক রাউন্ডেই সবচেয়ে  কম ভোট পাওয়া প্রার্থীকে সরে যেতে হয়েছিল। ষষ্ঠ তথা চূড়ান্ত দফায় প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার কনজারভেটিভ দলের সদস্যের ভোটাভুটিতে ঋষিকে পরাস্ত করেন লিজ ট্রাস। এবার ভোটাভুটি হাউস অব কমন্সের সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone