রামগড়ে জমজমাট শেখ রাসেল ফুটবল টুর্নামেন্ট
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এবং উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন ও পৌরসভার সহযোগিতায় গত ১২ অক্টোবর উদ্বোধন হয় ‘শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’। রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। একে ঘিরে রামগড়সহ আশপাশের উপজেলার ক্রীড়ামোদী দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
দেশের নানা জেলা থেকে অংশগ্রহণকারী দল ও দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিটি খেলায় হাজারো ফুটবলপ্রেমীর ঢলে তিল ধারণের জায়গা থাকে না মাঠজুড়ে। এই জনশ্রোত সামলাতে আয়োজক কমিটিকে হিমশিম খেতে হয় প্রতিদিন। টুর্নামেন্ট শুরুর পর যে কয়টি খেলা সম্পন্ন হয়েছে, তার কোনটিতেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি। পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, হাসপাতালের চিকিৎসক দল ও স্বেচ্ছাসেবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টুর্নামেন্ট সফল সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে।
টুর্নামেন্টে যে ১২টি দল অংশগ্রহণ করেছে তারা হলো- শেখ জামাল ক্লাব কক্সবাজার, রামগড় উপজেলা একাদশ, রামগড় উপজেলা একাদশ (অনু্র্ধ্ব-১৭), রামগড় সরকারি কলেজ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ নারায়ানহাট, ফটিকছড়ি, লক্ষীছড়ি উপজেলা একাদশ খাগড়াছড়ি, হাসনাবাদ খেলোয়াড় সমিতি দাতমারা, চট্টগ্রাম, বড়বেতুয়া ইয়াংস্টার স্পোর্টিং ক্লাব দাতমারা চট্টগ্রাম, খোসালপাড়া আল-আমিন সংঘ চট্টগ্রাম, রামগড় চা বাগান একাদশ, রামগড় ফুটবল একাডেমি একাদশ এবং ছাগলনাইয়া খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি ফেনী একাদশ।
টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, টুর্নামেন্টে বিভিন্ন জেলার দল অংশগ্রহণ করায় দর্শকদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এজন্য টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি দল ও দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের সমর্থন ছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজনটি এতটা চমৎকার হতো না। বিশেষ করে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের ক্রীড়াবান্ধব মনোভাব দীর্ঘ অনেক বছর পর এ ধরনের টুর্নামেন্ট রামগড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলে আরো দুটি খেলা এখনও বাকি।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও ইউএনও খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, মাদকবিরোধী জনসচেতনতা তৈরির জন্য মূলত টুর্নামেন্টটির আয়োজন। এর সফলতাই আগামীতে বড় আয়োজনের উৎসাহ জোগাবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা না পেলে এ ধরনের বড় আয়োজন সম্ভব হতো না। তিনি সকলকে ২৩ অক্টোবর সেমিফাইনাল ও ২৭ অক্টোবর ফাইনাল খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানান।