মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সম্মান দিয়েছেন শেখ হাসিনা
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সম্মানের জায়গায় আসীন করেছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকের হৃদয়ে তাদের অবদান থাকবে অমলিন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. সবুর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক, সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার প্রমুখ। এ সময় তিনি উপজেলা দুটির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার বলেন, “২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করেন। নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ছিল জাতির পিতার ৭ই মার্চের সেই বাণী―‘তোমাদের যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। ’ এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানগণ নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্তানি বর্বর ও এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ”
তিনি আরো বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নৌকার পক্ষে আছেন বলেই বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের সুনাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পথে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে নিয়ে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, মাদকমুক্ত ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পথে বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন। ’
জাতির জনকের কন্যা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেন উল্লেখ করে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘তারা আজ সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারছে, তাদের সম্মানিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করার জন্য তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। মৃত্যুর পর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হচ্ছে। ’
অনুষ্ঠানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।