প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল নিয়ে যা জানা গেল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হতে পারে। তৃতীয় সপ্তাহেও যেতে পারে ফল প্রকাশের তারিখ। তবে ফলাফল প্রায় প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী মাসের (নভেম্বর) দ্বিতীয় সপ্তাহে।
বিজ্ঞাপন
ফলাফল প্রায় প্রস্তুত। কয়েকদিনের মধ্যে নিয়োগ কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকের পরই ফল প্রকাশের চূড়ান্ত দিন ঠিক করা হবে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ বাড়ছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ৫০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে। নিয়োগ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খুব শিগগিরই নিয়োগ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কবে হবে নিয়োগ কমিটির বৈঠক সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।
শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের কাজ চলমান। আগামী মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে এটি প্রকাশ করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি করতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। সেটি আসেনি। তাই পদ বাড়ছে কিনা, এখনই বলা যাচ্ছে না।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার পাঁচশ ৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সে সময় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে সহকারী শিক্ষকের আরো অনেক পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার বলা হচ্ছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ বাড়ছে। নিয়োগ পেতে পারেন ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। তিন ধাপের মৌখিক পরীক্ষাও এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।