ভারতের শতকোটিতম শিশু এখন কোথায়?
বিশ্বের জনবহুল দেশের একটি ভারত। বহু বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিচ্ছিলেন যে, ভারতের জনসংখ্যা খুব দ্রুত হারে বাড়ছে। জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে বিভিন্ন সরকার একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছে।
কখনো জনগণকে সচেতন করেছে, কখনো সরবরাহ করেছে জন্মনিরোধক কিংবা গণহারে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু তারপরেও, ২০০০ সালের ১১ মে ভারতের জনসংখ্যা একটি বড়ো অংকে গিয়ে পৌঁছায়।
আনুষ্ঠানিকভাবে সেদিন জনসংখ্যা হয়েচিল একশো কোটি। কিন্তু কে এই শিশু? কোথায়, কার ঘরে জন্মালো- সবার দৃষ্টি ছিল সেদিকে।
ভারতের ১০০ কোটিতম শিশুটির নাম আস্থা অরোরা। দিল্লির সফদারজং হাসপাতালে ১০ মে ৫টা ৫ মিনিটে তার জন্ম। আর তাকেই ভারতের শতকোটিতম নাগরিক হিসেবে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করা হয়।
আস্থার জন্মগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত জনসংখ্যার দিক দিয়ে চীনের সারিতে উন্নীত হয়। বিশ্বে তখন কেবল চীনে শতকোটির বেশি জনসংখ্যা ছিল।
শতকোটিতম নাগরিক হিসেবে জন্ম নেওয়ায় ব্যাপক গুরুত্ব পায় আস্থা। বর্তমানে তার বয়স ২২ বছর। বেসরকারি একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
আস্থা বলেছেন, আমি বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর মতো সামর্থ্য মা-বাবার নেই। সে কারণে আমাকে ছাড় দিতে হয়েছে এবং নার্স হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সম্ভবত চার বা পাঁচ বছর বয়সে আমি প্রথমবার বিলিয়নতম শিশু শব্দটি শুনেছিলাম। একজন সাংবাদিক আমার স্কুলে এসেছিলেন। কোনো শিশুর জন্য টিভিতে স্থান পাওয়া একটি বড় ব্যাপার ছিল। আর আমি মনোযোগ পাওয়াটা পছন্দ করতাম।