বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কেন বাস বন্ধ, জানালেন তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কেন বাস বন্ধ, জানালেন তথ্যমন্ত্রী 

165302kalerkantho_jpg

হাওয়া ভবন করে জনগণের টাকা গিলে খাওয়া দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বচোর উপাধী পাওয়া বিএনপির এখন বড় গলা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদে তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা প্রবাদের মতো এখন বিশ্বচোরদের বড় গলা। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধী পেয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা, এখন বিশ্বচোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।

তিনি বলেন, তারা হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন তো আসলে একটা ‘খাওয়া ভবন’ ছিল। কারণ জনগণের টাকা ওখানে খাওয়া হতো। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সমস্ত ব্যবসা, সমস্ত প্রজেক্টের ওপর টোল বসিয়েছিল এবং জনগণের টাকাটাই গিলে খেত তারা।

যারা জনগণের টাকা আগে গিলে খেয়েছে, তারা শুধু খাওয়ার কথাই চিন্তা করে বলেই মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী।

বাস্তব দৃষ্টান্ত দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩.৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম। আমাদের নেত্রী, আমাদের সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন। এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে, দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে গেছে। এরপরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।

খুলনার পর বিএনপির রংপুর ও বরিশালের সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপিকে তো পরিবহন মালিক-শ্রমিক সবাই চেনে। কারণ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি পরিবহনের ওপর অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তারা শত শত গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিয়েছে, শত শত মানুষ হত্যা করেছে। এজন্য এখন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা শঙ্কিত। ফলে বিএনপি যেখানেই সমাবেশ ডাকে, সেখানেই তারা ধর্মঘট ডাকছে।

ধর্মঘট ডাকা মালিকদের মধ্যে যে বিএনপির সদস্যরাও আছেন তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক নেতা এবং সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন দলেরই মানুষ আছে। শিমুল বিশ্বাস বাবু তো পরিবহন নেতা, তিনি তো বিএনপি করেন। উনারাই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট ডাকার। সুতরাং বিএনপি ঘরানার পরিবহন মালিকরাও শঙ্কিত এবং তারা কেউই যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সে জন্য সবাই মিলেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানান ড. হাছান মাহমুদ।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone