ফারদিনের পর ভাসল দুরন্ত বিপ্লবের লাশ
কৃষি উদ্যোক্তা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দুরন্ত বিপ্লবের লাশ ভাসছিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে। গত শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
ফতুল্লার পাগলা নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহজাহান আলী গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার বিকালে পাগলা ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রাত ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
বিজ্ঞাপন
পরে রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জ এসে নিহতের ছবি দেখে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন তারা।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধারের চার দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। বিপ্লবের লাশ উদ্ধারের পর তার ছোটবোন শ্বাশতী বিপ্লব এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এমন মৃত্যু ভাইয়া ডিজার্ভ করে না। কোনোদিন না। নারায়ণগঞ্জের পাগলাঘাটে কচুরিপানার উপর এমন অসহায়ভাবে ভেসে থাকতে পারে না দুরন্ত বিপ্লব নামের কিংবদন্তিতুল্য ভাইটা আমার। ’
তিনি আরো লেখেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে এখন। আমরা কাল রাত ৩টায় সেই ছবি দেখে এসেছি। ৭ তারিখেই ও চলে গেসিল আমাদের ছেড়ে। কামরাঙ্গীরচর থেকে পাগলা পর্যন্ত ভেসে যেতে ওর ৫ দিন লেগেছে। ’
বিপ্লব ১৯৯৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে অর্নাস শেষ করেন। সে সময় তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। কেরানীগঞ্জে তার কৃষি খামার ছিল। গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাসায় যাওয়ার পথে ও নিখোঁজ হন। তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন পাওয়া যায় কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায়।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। সেদিন বান্ধবী বুশরাকে রামপুরায় পৌঁছে দেওয়ার পর তাঁর আর হদিস পাওয়া যায়নি। ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।