বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ড্যাপের ৩০ ভাগ বাস্তবায়ন হলেও বদলে যাবে ঢাকা

ড্যাপের ৩০ ভাগ বাস্তবায়ন হলেও বদলে যাবে ঢাকা 

203256kalerkantho_jpg

ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) ৩০ ভাগ বাস্তবায়ন হলে ঢাকার চেহারা বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

আজ শনিবার বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘পরিকল্পিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্য নগর ও আগামীর বাংলাদেশ ‘শীর্ষক আলোচনাসভায় তারা এ মন্তব্য করেন। এ সময় নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, বাংলাদেশে নগর উন্নয়ন কাজ পরিচালনায় পরিকল্পনাকে সম্মান জানানো হয় না ও বাস্তবায়ন হয় না।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের টাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল থেকে ২০০ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। তাও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব প্রচেষ্টায়। আমাদের দেশে পরিকল্পনার প্রতি অসম্মান আজকে নয় অনেক আগে থেকেই করা হচ্ছে। নিজেদের করা পরিকল্পনা নিজেরাই অসম্মান করছেন। পরিকল্পনা হলেই বাস্তবায়ন হয় না।

তিনি বলেন, ড্যাপের ৩০ ভাগ বাস্তবায়ন করলে ঢাকা শহরের চেহারা বদলে যাবে। রাজশাহীর জন্য ২০০৪-২০২৪ যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তার মাত্র ৩০-৩১ ভাগ বাস্তবায়ন করেছে। আর তাতেই বদলে গেছে রাজশাহী শহর। রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একসাথে পরিকল্পনা কাজ বাস্তবায়ন করেছে। রাজশাহীকে এখন পায়ে হাঁটার নগরী বলা হচ্ছে।

২০৪১ সালে উন্নত দেশের পথনকশা করতে হলে কারা করবে যেখানে স্থপতি দরকার সেখানে স্থপতি যেখানে পরিকল্পনাবিদ দরকার সেখানে পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ করতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিঞা বলেন, এখন থেকে প্রতি তিন মাসে একবার বসে ড্যাপ বাস্তবায়নে প্রায়োধিকার প্রকল্প নির্ধারণ করবে। ড্যাপে প্রস্তাবিত ব্লক ভিত্তিক উন্নয়ন করে উদাহরণ তৈরি করতে হবে। তাহলে অন্যরা আগ্রহী হবে। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের শহরের দিকে ঝুকছে। স্কুল, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা যদি গ্রামে নিশ্চিত করা যায় তবে কেউ শহরমুখি হবে না। দেশকে জলবায়ুর প্রভাবমুক্ত থাকতে হলে জনঘনত্ব ঠিক রাখতে হবে। আর অবশ্যই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে বৃষ্টির পানির নিচে নিতে হবে। ‘

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, বিআইপি তাদের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর জন্য একটি একাডেমি নির্মাণ করার জন্য জায়গা বরাদ্দ চেয়েছে। আমি রাজউক চেয়ারম্যান কে নির্দেশনা দিয়েছি জমি বরাদ্দ করার জন্য।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনসহ অন্যান্যরা

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone