ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপেই টুর্নামেন্ট সেরা; ভাষা হারিয়েছেন কারেন
বয়স মাত্র ২৪ বছর। সুইং বোলিং দিয়ে ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছেন। গত বছরই তার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে যেত, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইনজুরিতে তার কপাল পোড়ে। হতাশায় মুষড়ে পড়েননি স্যাম কারেন।
বিজ্ঞাপন
ফিরে আসেন নতুন উদ্যমে। আবারও সুযোগ পান বিশ্বকাপ দলে। তারপর তার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক হয়ে ওঠা। প্রথম বিশ্বকাপেই ফাইনালের সেরা তো বটেই, হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার!
পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ের ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে স্যাম কারেনের শিকার ৩টি। তার অসাধারণ বোলিংয়েই পাকিস্তান ১৩৭ রানেই আটকে যায়। ‘অফ কাটার’, ‘নাকল’ আর ‘ইয়র্কারে’ পাকিস্তানি ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন কারেন। তাই তাকে ম্যাচসেরা বাছতে বেগ পেতে হয়নি আয়োজকদের। ম্যাচ শেষে এই বিশাল অর্জন যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না কারেনের, ‘আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এখন সময়টা উপভোগের। ‘
পুরো টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে স্যাম কারেনের উইকেট সংখ্যা ১৩টি। গড় ১১.৩৮ আর ইকোনমি মাত্র ৬.৫২। আজকের ম্যাচে সময়ের চাহিদা মিটিয়ে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২* রান করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস। এর আগে তিনি একটি উইকেটও নিয়েছেন। তাই স্টোকসেই ফাইনাল সেরা হিসেবে মনে করেন কারেন, ‘আমার মনে হয় না, যে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা আমার প্রাপ্য। কিন্তু স্টোকস যেভাবে খেলল… এই উপলক্ষটা বিশেষ। আমরা এখন সময়টা উপভোগ করব। ‘