সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেয়া রুল নিষ্পত্তি
প্রধান প্রতিবেদক : আদালত অবমাননায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেয়া রুল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হা্ইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
শুনানিকালে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ড. শাহদীন মালিক, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সাংবাদিকদের আদালতে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। হৈ চৈ হট্টগোলের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের শুনানিতে কতিপয় আইনজীবী সাংবাদিক সমাজ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকরা ওই আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদপত্রে বিবৃতি দেয়।
বিবৃতি দেয়াকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে তাদেরকে আজ বুধবার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
সে অনুযায়ী সাংবাদিকরা আদালতে হাজিরা দেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও রুহুল আমিন গাজি, সেক্রেটারি শওকত মাহমুদ, আব্দুল হাই সিকদার, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সালেহ উদ্দিন, সেক্রেটারি ওয়াকিল আহমেদ হিরনসহ বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থিত হন।
আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিপুল উপস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরের আদালত কক্ষে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এসময় আইনজীবী মামুন মাহবুব ও কাজী জয়নুলসহ বেশকিছু আইনজীবী আপত্তিকর মন্তব্য করে সাংবাদিকদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দিতে চাইলে সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ জানান। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক সময় মামুন মাহবুব নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। পরে সিনিয়র সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একপর্যায়ে সিনিয়র নেতারা সব সাংবাদিকদেরকে নিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে এসে অ্যানেক্স ভবনের খোলা চত্বরের সামনে অবস্থান নেয়।
পরিস্থিতির এমন পর্যায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক নাঈমা হায়দারের খাস কামরায় সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের শুনানি হয়।