আপনার দেশে কেউ নির্বাচনে না এলে আপনি কি বাধ্য করতে পারেন?
‘আপনার দেশে কেউ নির্বাচনে না এলে আপনি কি বাধ্য করতে পারেন?’ বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরানকে এ প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও আইনজীবী নূরজাহান বেগম মুক্তা।
এর আগে বিএনপির একজন প্রতিনিধি তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার পাশাপাশি এ বিষয়ে তার দলের অবস্থান তুলে ধরেন। পরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানান, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিরা তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আপনাদের অবস্থান জানানোর পরিবর্তে আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।
বিজ্ঞাপন
এটিই আমার পরামর্শ। ’
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি নিয়ে তুরস্কের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত করেন। ওই মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও যে অনেক অনুসারী, ভক্ত আছে তাও তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আদালত তাদের বিচার করেছে। আপনি তাদের রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে তাদের বিচার হয়েছে। ’ রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ করে আরো বলা হয়, ‘অনেক দেশেই ফাঁসি হচ্ছে; কিন্তু তুরস্ক সেখানে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ’ এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, কোনো দেশ তার নাগরিকদের ফাঁসি দিতে পারে; কিন্তু তুরস্ক এর বিরোধী। তিনি বলেন, ‘আমি মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করেছি। কোনো ব্যক্তি অন্যকে মেরে ফেললেও তাকে ফাঁসি দেওয়ায় আমি কোনো লাভ দেখি না। ’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো অভিপ্রায় তাদের ছিল না।