যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে কড়াকড়ি আসতে পারে
যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান অভিবাসনের হার হ্রাস করতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোসহ বিভিন্ন প্রস্তাব বিবেচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বিবিসিকে এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, কথিত নিম্নমানের ডিগ্রি অর্জন করতে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং তাদের ওপর ‘নির্ভরশীল’ হিসেবে যে পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাজ্যে আসে, তাদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। মুখপাত্র অবশ্য ‘নিম্নমানের’ ডিগ্রি কোনগুলো তা সংজ্ঞায়িত করেননি।
বিজ্ঞাপন
শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তির সুযোগ সীমিত করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দ্য টাইমস পত্রিকা।
এ সপ্তাহে সরকারের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের (ওএনএস) হিসাবে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা চলতি বছর দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে মোট অভিবাসীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭৩ হাজার। এ বছর তা প্রায় সাড়ে তিন লাখ বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ চার হাজার। ক্রমবর্ধমান অভিবাসন সরকারের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এর আগে ছাত্র ভিসায় আসা শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আসা ও ভিসা ব্যবহার করে ‘নিম্নমানের’ কোর্সে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ তোলেন।
তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমানোর সিদ্ধান্তে বাধা আসতে পারে ব্রিটিশ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কেননা যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফি থেকে তাদের আয়ের বড় অংশ সংগ্রহ করে। আর কথিত নিম্নমানের ডিগ্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হারিয়ে দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কায়ও পড়তে পারে।
অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট গত সপ্তাহে বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য অভিবাসন প্রয়োজন। অর্থনীতির ক্ষতি না করে অভিবাসী কমিয়ে আনতে হলে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। ’ অর্থনীতির বিবেচনায় আসন্ন বছরগুলোতে অভিবাসী প্রয়োজন হবে বলেও জানান তিনি।
মোটা ফি দেওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিল নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে শিক্ষা বিভাগে। সরকারের অভিবাসন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ব্রায়ান বেল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমানোর সিদ্ধান্ত অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।