ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যু কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি
দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমছে। কমেছে মৃত্যুও। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় রোগী কমেছে ৩০.২৩ শতাংশ। মৃত্যু কমেছে ৩৭.৯৩ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরো দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো ৪৬২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন রোগীদের ২৪১ জন ঢাকার এবং অন্যান্য বিভাগের ২২১ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ৯৬ জন রোগী পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপর বরিশাল বিভাগে ৩৮ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি এক হাজার ৯৮৮ জন। ঢাকার ৫৩ হাসপাতালে এক হাজার ১৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ৮১৭ জন।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৬০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ২৪৪ জন। এর মধ্যে নভেম্বরের প্রথম ২৬ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৩ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। একক মাস হিসেবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় নভেম্বরে। আগের মাস অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২১ হাজার ৯৩২ জন। মারা গেছে ৮৬ জন। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয় ৯ হাজার ৯১১ জন। মৃত্যু ৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে (২০ থেকে ২৬ নভেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি হয় তিন হাজার ৪৪৬ জন। মৃত্যু ১৮ জনের। অর্থাৎ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪৯২ জন। মৃত্যু ২.৫৭ জনের।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে (১ থেকে ৭ নভেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি হয় চার হাজার ৯৭৫ জন নতুন রোগী। ওই সপ্তাহে মৃত্যু হয় ২৯ জনের। অর্থাৎ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭১০ জন। আর মারা যাচ্ছে ৪.১৪ জন। সে হিসাবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় রোগী কমেছে ৩০.২৩ শতাংশ। মৃত্যু কমেছে ৩৭.৯৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে দেশে সর্বোচ্চ এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওই বছর মৃত্যু হয় ১৬৪ জনের।