ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারো ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হওয়ার পর ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের আশঙ্কা প্রকট হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বা ভূখণ্ড সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাম-ঘেঁষা ইসরায়েলপন্থি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জে স্ট্রিটের সাথে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা একক কোনো ব্যক্তি নয় বরং সরকার যেসব নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে সেটির মাধ্যমে তাদের মানদণ্ড পরিমাপ করব। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ‘নিরলসভাবে’ কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করব আমরা। যার মধ্যে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত, ধ্বংস এবং উচ্ছেদসহ সহিংসতার প্ররোচনাও রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাইডেন প্রশাসন ‘সমকামিদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইসরায়েলের সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচারের সমান প্রশাসনসহ মূল গণতান্ত্রিক নীতিগুলোর ওপর জোর দেবে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলে গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছে সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জোট। ক্ষমতায় যেতে চরম কট্টরপন্থি এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের পক্ষে থাকা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন নেতানিয়াহু। তার জোটে থাকা উগ্রপন্থি এসব দলগুলোর মধ্যে রিলিজিয়াস জিয়োনিজম নামে একটি দলও রয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, নেতানিয়াহুর অধীনে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সম্ভবত আরো অবৈধ ইসরায়েলি বসতি গড়ে উঠবে।
নেতানিয়াহু এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলে একটানা ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার শাসনামলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অবৈধ বসতির রেকর্ড সম্প্রসারণ হয়েছে।
নেতনিয়াহুর জোটে থাকা রিলিজিয়াস জিয়োনিজম দল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি সম্প্রসারণকে সমর্থন করে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। নেতানিয়াহুর নতুন ওই জোটে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি পদও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।