হ্যাটট্রিক, গোল উৎসবে মেতে শেষ আটে পর্তুগাল
১৮ বছর পর এই প্রথম শুরুর একাদশে রাখা হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তাতে যেন পর্তুগালের বয়েই গেল! ফর্মহীনতায় ভোগা সিআর সেভেনকে ছাড়াই গোল উৎসবে মেতে উঠল পর্তুগিজরা। গনসালো রামোসের হ্যাটট্রিকে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে তারা শেষ আট নিশ্চিত করে ফেলেছে। চলতি কাতার বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক।
বিজ্ঞাপন
আগামী শনিবার শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।
মঙ্গলবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল উপহার দিয়েছে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে একাদশে নেমে ১৭ মিনিটের মাথায় পর্তুগালকে এগিয়ে দেন গনসালো রামোস। তার গোলটা ছিল অসাধারণ এবং দর্শনীয়। বাঁ দিক থেকে জোয়াও ফেলিক্সের বাড়ানো বল ধরে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বাম দিকের দুরূহ কোণ থেকে দারুণ এক শটে গোলকিপারকে বোকা বানান। ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেপে। ব্রুনো ফের্নান্দেসের কর্নার কিক থেকে আসা বলে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে তিনি বল জালে পাঠিয়ে দেন।
বিরতির পর ৫০ মিনিটেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। গোলদাতা সেই গনসালো রামোস। দিয়াগো দালতের ক্রস থেকে বল পেয়ে দারুণ ফ্লিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই বেনফিকো তারকা। পর্তুগিজ ফুটবলাররা যেন গোলের নেশায় মেতে ওঠে। পাচ মিনিট পরেই স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন পর্তুগালের লেফট ব্যাক রাফায়েল গুয়েরেইরো। ৫৮ মিনিটে শাকিরির কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে দারুন ভলিতে গোল করে ব্যবধান কমান ম্যানুয়েল আকানজি। ৬৬তম মিনিটে হ্যাটট্রিক করে ফেলেন গনসালো রামোস!
সতীর্থের পাস থেকে বল পেয়ে তীব্র গতিতে বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান। গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না। ৭৪তম মিনিট বদলি হিসেবে নামানো হয় রোনালদোকে। ৮৪তম মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। এরপর মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়েছেন রোনালদো। কিন্তু গোল পাননি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ৬ষ্ঠ গোলটি করেন রাফায়েল লিয়াও। প্রতিআক্রমণ থেকে বল পায়ে ছুটতে ছুটতে দূরপাল্লার শটে স্কোরলাইন ৬-১ করে ফেলেন। বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।