রুশ বিজয়ীকে নোবেল শান্তি পুরস্কার ‘প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ’
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার যৌথভাবে বিজয়ীদের মধ্যে রাশিয়ান নাগরিক ইয়ান রাচিনস্কি বলেছেন, ক্রেমলিন থেকে তাকে পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়েছে।
ইয়ান রাচিনস্কি বলেছেন, পুরস্কারটি তাকে নিতে বারণ করা হয়েছে এ কারণে যে, তার সঙ্গে আরো দুজন পুরস্কার বিজয়ী বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালিয়েস বিয়ালিয়াৎস্কি এবং অন্যটি ইউক্রেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন। এ কারণে পুরস্কারটি নেওয়া অনুপযুক্ত বলে মনে করে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার প্রাচীনতম নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম মেমোরিয়াল।
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার সরকার গত বছরই সংগঠনটি বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিবিসি। তবে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ান রাচিনস্কি বলেছেন, তার সংস্থাকে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়েছে। তবে ‘স্বাভাবিকভাবেই, আমরা এই পরামর্শের দিকে ভ্রুক্ষেপ করিনি’।
নিজের নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা সত্ত্বেও রাচিনস্কি বলেছেন, মেমোরিয়ালের কাজ চালিয়ে যাওয়াটা অপরিহার্য। আজকের রাশিয়ায় কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। হ্যাঁ, অনেকে নিহত হয়েছে। কিন্তু, আমরা জানি যে- রাষ্ট্র দায় না নেওয়াটা কোন দিকে নিয়ে যায় … আমাদের এই খাদ থেকে কোনো না কোনোভাবে উঠে আসতে হবে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধকে ‘উন্মাদ’ উল্লেখ করে কঠোর সমালোচনা করেছেন ইয়ান রাচিনস্কি। শনিবার নরওয়ের রাজধানী অসলোয় নোবেল পুরস্কার গ্রহণের সময় চলমান যুদ্ধ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাচিনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উন্মাদ ও অপরাধমূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে পুতিন বাহিনী। মানবাধিকার-গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের হাতে এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার শনিবার অসলোর সিটি হলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালিয়েস বিয়ালিয়াৎস্কি জেলে থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন স্ত্রী। ইউক্রেনের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ওলেক্সান্দ্রা মাতভিচুক যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মাতভিচুক সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের শুধু কর্তৃত্ববাদী শাসন পতনের পরে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত নয়, ‘ন্যায়বিচার অপেক্ষা করতে পারে না’। আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং পুতিন, লুকাশেঙ্কো এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।