হিমাচলে দলীয় ঐক্য দেখাল কংগ্রেস
ভারতের হিমাচল রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে দলীয় ঐক্য দেখাল কংগ্রেস দল। ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখবিন্দর সিং সুখু শপথ নেওয়ার সময় গান্ধী পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন অংশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গুজরাটের ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে দলটি হিমাচলে এই ঐক্য দেখাল।
কংগ্রেস হিমাচল বিধানসভার ৬৮টির মধ্যে ৪০টি আসন পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরকার গঠন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দলে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। রাজ্যটির ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি প্রতিভা সিং তাঁকে অথবা তাঁর ভোটে জয়ী ছেলে বিক্রমাদিত্যকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি করেন।
কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়, সুখবিন্দর সিং সুখুই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিভার সঙ্গে সুখুর বিরোধ রয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মুকেশ অগ্নিহোত্রী।
শনিবার দুপুরে হিমাচলের রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠান হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এ সময় সুখুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিভা সিংও উপস্থিত ছিলেন।
সুখুকে মনোনয়ন দেওয়ার পর গত শনিবারই প্রতিভা জানান, দলেরই কেউ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলে দলের প্রধান হিসেবে তিনি শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন। ঐক্যের বার্তা দিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী সুখুও বলেন, ‘উনি (প্রতিভা সিং) রাজ্যে দলের প্রধান। তাঁর নির্দেশেই আমরা সবাই কাজ করব। ’
৫৮ বছর বয়সী সুখু বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির প্রধান ছিলেন। চারবারের বিধায়ক সুখুর বাবা ছিলেন একজন বাসচালক। তিনি পড়াশোনা করতেন হিমাচলের রাজধানী সিমলায় অবস্থিত হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই রাজনীতির হাতেখড়ি হয় তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন পাওয়ার পর গান্ধী পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুখু বলেন, ‘সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরে আমি খুবই খুশি। ’
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা। হিমাচলের এই নেতা কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর সদস্য। শপথ অনুষ্ঠানে তিনি সুখুর প্রশংসা করেন।
হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়কে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর একটি সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের সদস্য এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস নেতা হিসেবে শুধু তিনিই সক্রিয়ভাবে প্রচার চালিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা এর আগে এ বছরের শুরুতে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে প্রচারণা চালালেও দল হেরে যায়।