বিএনপির এমপিরা কী সুবিধা নিয়েছেন তার তথ্য চেয়ে আইনি নোটিশ
জাতীয় সংসদের সদস্য থাকার সময় বিএনপির ছয় নেতা পারিশ্রমিক হিসেবে বেতন-ভাতা, অনুদানসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, তার বিশদ তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থসচিব, গণপূর্ত সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ বিএনপির ছয় নেতাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
রাজধানীর গোলাপবাগের সমাবেশে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেওয়ার পর রবিবার স্পিকারের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
সাতটি পদত্যাগপত্র জমা হলেও আজ সোমবার ছয়টি আসনে শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
উকিল আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন) পদত্যাগপত্র জমা দেয়। এদের মধ্যে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন বাদে বাকিগুলো শূন্য ঘোষণা করেছে সচিবালয়।
একজনের পদত্যাগ গ্রহণ না করায় নোটিশে ছয়জনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী সুমন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, “নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য না পেলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ”
সুমনের নোটিশে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬৮ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক, ভাতা এবং বিশেষ সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এ বিধান অনুসরণ করে ‘সংসদ সদস্যদের (বেতন ও ভাতা) আদেশ, ১৯৭৩’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্যরা পারিশ্রমিক, বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তাই জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে পদত্যাগ করা এই ছয় নেতা সংসদ সদস্য হিসেবে কী পরিমাণ বেতন-ভাতা ও কি কি অনুদান, সুযোগ-সুবিদা ভোগ করেছেন, তা জানতে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, জনগণ ভোট দিয়ে এই সংসদ সদস্যদের পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে এবং তারা পাঁচ বছরের জন্য জনগণের সেবা করার শপথ নিয়েছেন। জনগণের সেবা করার বিবেচনায় সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক হিসেবে বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। পাঁচ বছর পূর্ণ না করে বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা বেআইনি। তাই পারিশ্রমিক, বেতন-ভাতাসহ পদত্যাগ করা বিএনপির এই ছয় নেতা সংসদ সদস্য থাকাকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন কিনা, কোনো শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেছেন কিনা, তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চাই।