বিশ্বের ধনীর তালিকায় প্রথম ১০ থেকে ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি
সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না গৌতম আদানির। ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা’-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের ধাক্কায় তোলপাড় ভারতের শেয়ার বাজার। ক্ষতিগ্রস্ত আদানিদের সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার। সেই ধাক্কার জেরেই এবার বিশ্বের ধনীদের তালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে নেই আদানি। ফোর্বসের তালিকায় তিনি নেমে গেলেন ১১ নম্বরে।
মেক্সিকোর ধনকুবের কার্লোস স্লিম আদানিকে সরিয়ে প্রথম দশে ঢুকে পড়লেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ আদানির থেকে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি। আসলে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের মূল্য নিয়ে আমেরিকার ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা’-র একটি রিপোর্ট আলোড়ন তুলে দিয়েছে দেশে। যার জেরে বিপুল ভাবে পড়ে গিয়েছে আদানিদের শেয়ার। ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় জীবনবিমা নিগম তথা এলআইসি এবং অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার। বিশেষত, স্টেট ব্যাংকের শেয়ারমূল্য হাজার হাজার কোটি টাকা নেমেছে। এলআইসি ও স্টেট ব্যাংকের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে আদানির সংস্থায়। আদানি গোষ্ঠী সবটাই চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিলেও আশঙ্কা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগাতার বাড়তে থাকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। সেবছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে যান তিনি। এ যেন এক রূপকথার উত্থান। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিল তার একরোখা জেদ ও অধ্যবসায়। হিরার ব্যবসায় মন দিতেই রাতারাতি কলেজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদানি। কিন্তু এই সাফল্যের মাঝে এবার জেগে উঠেছে আশঙ্কার কাঁটা।
এর আগে ১৯৯৮ সালে ডাকাতের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন তিনি। ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় তাজ হোটেলেও ছিলেন। সেই সব বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার পর এবার বড় বিপদের মুখে পড়েছে তার কেরিয়ার।
মহামারীর তিন বছরে আদানিদের শেয়ারের দাম ৮১৯ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারের দাম বাড়ায় আদানিদের সম্পদও বেড়েছে। এবার হু হু করে পড়তে শুরু করেছে শেয়ার। যদিও আদানি গোষ্ঠীর আরও দাবি, শেয়ার বাজারে তাদের মাত্র সাতটি সংস্থা নথিভুক্ত। তার বাইরেও রয়েছে আদানিদের অসংখ্য কোম্পানি। যেসব কোম্পানির ১০০ শতাংশ মালিকানা তাদেরই হাতে। ফলে রাতারাতি সেই সম্পদ উড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।