ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের সংযত থাকতে ব্লিংকেনের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সোমবার ইসরাইলে পৌঁছেছেন। ইসরাইলে ফিলিস্তিনিদের সাথে তাদের অশান্ত সম্পর্কের একটি কঠিন মুহূর্তে তিনি সেখানে পৌঁছান এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রাদুর্ভাবের পরে উত্তেজনা হ্রাসের চেষ্টা করেন।
মিশরে সংক্ষিপ্ত একটি যাত্রাবিরতির পর তিনি তেল আবিবে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছে ব্লিংকেন ইসরাইলি নাগরিকদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক ফিলিস্তিনি হামলার নিন্দা করেছেন। তবে তিনি ইসরাইলকে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন; বলেছেন যে- বেসামরিক হতাহতের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।
গত সপ্তাহে নতুন করে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। সে সময় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করে। এর আগে জেরুজালেমে সাতজন ইসরাইলি নিহত হন।
দু’দিনের সফরে ব্লিংকেনের আগমণের কিছুক্ষণ আগে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে, ইসরাইলি বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ শহর হেবরনে একজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে জানুয়ারিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩৫-এ পৌঁছেছে।
জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন গোঁড়া-ডানপন্থী সরকারের প্রথম সপ্তাহগুলোতে সহিংসতা বেড়ে যায়। ইসরাইলের নতুন সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার এবং ইসরাইল-অধিকৃত অঞ্চলে বসতি নির্মাণকে দ্রুততর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সোমবার দিনের শেষের দিকে ব্লিংকেনের নেতানিয়াহুর সাথে তার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী আলোচনা করার কথা রয়েছে। ড্রোন হামলায় ইরানের একটি সামরিক অবকাঠামো আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর এই আলোচনা নির্ধারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছে, এটি ইসরাইলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাজ।
পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের সাথেও ব্লিংকেনের বৈঠক করার কথা রয়েছে।