বিমানটি ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজের সপ্তম দিনে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামরিক রাডারের তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়েছে বিমানটি হারিয়ে যায়নি বা দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে সেটিকে কেউ ভুল পথে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলো।
৮ মার্চ ভোরে চীনের বেজিংয়ের পথ ছেড়ে বিমানটি আন্দামানের দিকে উড়তে শুরু করে।
তদন্তকারীর বলছেন, বিমান চালানোয় যথেষ্টই দক্ষ এমনই কেউই তখন বিমানটি উড়িয়েছিলেন। মালয়েশিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূল পেরিয়ে যাওয়ার পরেই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিমানটির গতিমুখ এবং অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হিসেব করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত তা আন্দামানের দিকেই গেছে।
অন্যদিকে, বিমানটি নিখোঁজ হওযার কিছুক্ষণ পরেই, দক্ষিণ চীন সাগরের ভূপৃষ্ঠে কম্পন রেকর্ড করেছেন চীনের ভূবিজ্ঞানীরা।
স্থানটি মালয়েশিয়ার ১১৬ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। তা ওই বিমান দুর্ঘটনার কারণে ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
গত শনিবার কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরই লাপাত্তা হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০৷ বিমানের ২৩৯ জন আরোহীর মধ্যে ১২ জন ক্রু আর বাকিরা যাত্রী।
যাত্রীদের অন্তত ১৫২ জন চীনের, ৩৮ জন মালয়েশিয়ার, সাতজন ইন্দোনেশিয়ার, ছয়জন অস্ট্রেলিয়ার, পাঁচজন ভারতের, চারজন ফ্রান্সের এবং তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ভালো আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও কন্ট্রোল প্যানেল থেকে কোনো বিপদ সংকেত না পাঠিয়েই বিমান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহের।