ভোলায় জাল ভোটের মহোৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলা সদর উপজেলায় নির্বাচন শুরুর আধাঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু কেন্দ্র থেকে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের সহায়তায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। এসব কেন্দ্রে প্রশাসনের সহায়তায় প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমিনুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, তাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফারুক মিয়ার (আনারস) এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
জানা যায়, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টরা যথাসময়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করলেও আধাঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেনর (কাপ-পিরিচ) কর্মীরা ভেলু মিয়া শরীফ খাঁ বাজার সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাপ্তা ভোটের ঘর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ইলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও মিয়াঝী বাড়ি সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ ভেলু মিয়া, বাপ্তা ও ইলিশা ইউনিয়নের ১২টি কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
এসব কেন্দ্রে পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা কেন্দ্রে ঢুকে প্রকাশ্য সিল মারছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বরকতের নেতৃত্বে পুলিশ প্রকাশ্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ করছেন ভোটাররা।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমিনুল ইসলাম খান জানান, এজেন্টদের বের করে দেয়া, পুলিশ দিয়ে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ ও প্রকাশ্য সিল মারার বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার আবু সাইদ ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রধান এজেন্টের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ফোন করলে রিটার্নিং অফিসার অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যান।