ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে ইইউ-চীন সমঝোতা
সউদী ইরানের মধ্যে বিরোধ নিরসনের পর চীনের নজর এখন ইউরোপে। এর এতে বেশ সাড়াও মিলেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাণিজ্যক্ষেত্রে ক্রমশ সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে চীনের সাথে। সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে নয়াদিল্লি। চীনের সাথে ইউরোপের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর বাণিজ্যসমঝোতা বাড়লে তা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অক্ষে ভারতের ভূমিকাকে অনেকটাই দুর্বল করে দিতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
কয়েক মাস ধরে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদের ঘনঘন বেইজিং যাত্রার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ নভেম্বরে গিয়েছেন চীনে। ডিসেম্বরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের কর্তা শার্ল মিশেল যান সে দেশে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পাবলো সানচেজ এই সপ্তাহে চীন সফর করছেন। আগামী সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন যাবেন বেইজিং।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সম্প্রতি ব্রাসেলসে ইইউ-চীন সম্পর্ক সংক্রান্ত সম্মেলনে উরসুলা বলেছেন, তিনি শি জিনপিং সরকারের কাছে একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা কৌশলের’ বিষয়ে প্রস্তাব করবেন। চলতি বছরের শেষ থেকেই এই কৌশল রূপায়ণ করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। ইইউ-এর পক্ষ থেকে অবশ্য এটাও জানানো হয়েছে, চীনের একচেটিয়া আধিপত্য কমানোর জন্যই নাকি এই কৌশল। এ-ও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে যে চীন এবং ফ্রান্স তাদের প্রথম দফার এলএনজি গ্যাস বাণিজ্য শেষ করেছে ইউনান প্রদেশকেব্যবহার করে।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ইউরোপের নেতাদের চীনে এতবার সফরের আরো একটি উদ্দেশ্য, রাশিয়াকে ক্রমাগত সামরিক সাহায্য জোগানো থেকে বিরত রাখা। ইউরোপের ধারণা, চীন যদি তার যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে পুরোপুরিভাবে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ায়, খুব বড় মাপের সঙ্ঘাত ও সঙ্কট এড়ানো যাবে না।