ফলাফল নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নেতাকর্মীদের ওপর হামলা : রিজভী
প্রধান প্রতিবেদক : উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতেই ১৯ দলীয় জোট নেতা-কর্মীদের মারপিট ও কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল সরকার দলীয় প্রার্থীরা ছিনিয়ে নেওয়া ষড়যন্ত্র করছে বলে আমরা বারবার গণমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করে আসছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।
তিনি বলেন, আজ নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে ভোট কেন্দ্রগুলো দখলের মধ্য দিয়ে সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা অবাধে জালভোটের মহাউৎসবে মেতে উঠেছে। প্রশাসনের সহযোহিতায় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা এসব তা-ব চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
রিজভী আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮১ উপজেলার মধ্য কিছু সংখ্যক এলাকায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচন করলেও এতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্য কোন টানাপোড়েনের সম্ভবনা নেই। কারণ তাদেরকে স্থানীয়ভাবেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নে জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, লোক দেখানোর জন্য নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তাদের কোন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে আমরা মনেকরি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়া উচিত।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।