আজ বেইজিংয়ে বৈঠকে বসছেন ইরান-সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে গত ১০ মার্চ স্বাক্ষরিত এক চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ সাত বছরের বৈরিতার অবসান ঘটায় মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশ ইরান ও সউদী আরব। এবার সেই বেইজিংয়েই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন দুই মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া বুধবার এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার চীনের আমন্ত্রণে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান।
এর আগে গত ১০ মার্চ বেইজিংয়ে বৈঠকে বসেন রিয়াদ ও তেহরানের কূটনীতিকরা। এতে মধ্যস্থতা করেন চীনের এক শীর্ষ কূটনীতিক। এর পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চীন ওই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্রুত বৈঠকে বসার কথা। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন আবদুল্লাহিয়ান ও ফয়সাল বিন ফারহান।
এ ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে উভয় দেশের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন চালু করার কথা। বেইজিংয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পর বিগত তিন সপ্তাহে অন্তত তিন দফা টেলিফোনে কথা বলেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সর্বশেষ গত রোববার টেলিফোনে আলাপ করেন সউদী আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ওই সময় তারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ব্যাপারে কথা বলেন।
তার আগে বিগত কয়েক মাস ধরেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে আসছিল ইরান ও সউদী আরব। ২০১৬ সালে সউদী আরবে এক শিয়া আলেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং এর প্রতিবাদে তেহরানে অবস্থিত সউদী দূতাবাসে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত হয়ে যায়।