ভোটে দাঁড়ানোর লোক নেই, জাপানে ৪০ শতাংশ প্রার্থীই জয়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
দ্রুত কমছে জন্মহার। দেশে বাড়ছে বৃদ্ধের সংখ্যা। জনসংখ্যার হ্রাসের তীব্র সমস্যার ভুগছে জাপান। ইতিমধ্যেই জন্মহার হ্রাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপানি সরকার। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যার মোকাবিলার জন্য একটি পৃথক সংস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এবার স্থানীয় নির্বাচনেও জাপানের জনসংখ্যা সমস্যার এই ছবি ফুটে উঠল। অন্যান্য দেশে যেখানে মেয়র, কাউন্সিলর হওয়ার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে, সেখানে জাপানের স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মতো লোকই পাওয়া গেল না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা জয়ী হলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
শনিবার (৮ এপ্রিল), জাপানের ৯টি প্রদেশের গভর্নর, ৬টি বড় শহরের মেয়র এবং ৪১টি রাজ্যের এবং ১৭টি শহরের বিধানসভা সদস্য নির্বাচন ছিল। জেলা স্তরের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ৫৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর কোনও প্রতিপক্ষ নেই। জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ৩৪৮টি নির্বাচনী জেলায়, মোট প্রার্থীদের মাত্র ৪০ শতাংশকে ভোটে লড়তে হচ্ছে। বাকিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে হয়নি। আগামী ২৩ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজধানী টোকিওর বিভিন্ন পুর ওয়ার্ড এবং ছোট শহর, আধা শহর, গ্রামের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করা হবে।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপানে গত বছর ৮ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়েছে। গত সাড়ে বারো কোটি বছরের মধ্যে সেই দেশে কোনওদিন জন্মহার এত কম ছিল না। জাপানি সরকারের মতে জাপানে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, জায়গার অভাব, চাইল্ড কেয়ার পরিষেবার অভাবের মতো অনেকগুলি সামাজিক কারণেই জন্মহার কমেছে।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় অনুযায়ী, জাপানের অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী অবিবাহিতদের অর্ধেকই অর্থনৈতিক উদ্বেগের কারণে সন্তান ধারণে অনাগ্রহী। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, এই জন্মহার কমার প্রবণতার ফলে জাপানি সমাজের টিকে থাকাই হুমকির মুখে পড়েছে।