আড়ি পাততে ৯৮৬ কোটি খরচে সফটওয়্যার কিনছে ভারত!
ক’দিন আগে বিদেশের মাটিতে নতুন করে পেগাসাস ইস্যুকে উসকে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল অভিযোগ করেন, তার ফোনে পেগাসাস ছিল। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতার মন্তব্য ছিল, “ভারতীয় গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।” সোমবার কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হল, পেগাসাসের মতোই একটি গোপনে আড়িপাতা সফটওয়্যার কিনতে চলেছে কেন্দ্র। ‘কগনিট’ নামের স্পাইওয়্যার কিনতে ৯৮৬ কোটি রুপি খরচ করতে চলেছে মোদি সরকার।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নয়া স্পাইওয়্যার নিয়ে সরব হন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। তিনি বলেন, “পেগাসাস কুখ্যাত হওয়ার পরে ‘ন্যূনতম শাসন-সর্বোচ্চ নজরদারি’ চালাতে নতুন স্পাইওয়্যার খুঁজছে কেন্দ্র।” খেরার কটাক্ষ, আমি বুঝতে পারি বিরোধীদের ঘৃণা করে শাসকরা, কিন্তু নিজের সরকারের মন্ত্রীদের উপরেও নজরদারি চালাচ্ছে এরা।” খেরা আরও বলেন, “এই দেশের ‘দুই গুপ্তচর’ কাউকে বিশ্বাস করে না। সংবিধান কিংবা সংবাদমাধ্যমকেও। তাই করদাতাদের কোট কোটি টাকা খরচ করে ইজরায়েলের স্পাইওয়্যার টেকনোলজি কিনতে চলেছে। তারা এটা করছেন কারণ সম্রাট আশঙ্কা করছেন যে তার মিথ্যার প্রাসাদ প্রকৃত সত্যের সামনে ভেঙে পড়তে পারে।”
এদিন কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, সরকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী, সাংবাদিক, বিচার বিভাগ, নাগরিক এবং এমনকী নিজের মন্ত্রীদের উপরও গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে চাইছে। পবন খেরার দাবি, কগনিটের কথা এখনও পর্যন্ত খুব বেশ মানুষ না জানলেও তা আসলে পেগাসাসের মতোই একটি গোপনে আড়িপাতা সফটওয়্যার।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে পেগাসাস রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের রাজনীতি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে, পেগাসাস নামের এই ইসরাইলি সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিল্পপতি এমনকী সরকারি আমলাদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রের টার্গেটে ছিলেন রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, রাকেশ আস্তানা, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার মতো ব্যক্তিত্বরা।