সউদী-ইরান সম্পর্ক উন্নয়নের এক মাস, মধ্যপ্রাচ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন
সোমবার সউদী আরব ও ইরানের ‘বেইজিং সংলাপ’ আয়োজনের এক মাস পূর্তি হয়েছে। এই এক মাসে প্রতিদিন মধ্যপ্রাচ্য থেকে সুখবর শোনা গেছে।
শনিবার সউদী আরবের কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল ইরানের রাজধানী তেহরান পোঁছে দু’দেশে পরস্পরের দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে আলোচনা করেছে। এর আগে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বেইজিংয়ে বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। দু’দেশ বেইজিং সংলাপের রোডম্যাপ এবং সময়সূচী অনুযায়ী সম্পর্ক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে সউদী আরব ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সঙ্গে ইয়েমেনের শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ দেখা যাচ্ছে। যদি বাস্তব অগ্রগতি হয়, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ মতভেদ সমাধানের আরেকটি সফল উদাহরণ তৈরি করবে।
সিরিয়া ও আরব দেশের বিনিময় বাড়ছে। গত মাসে সউদী আরব ও সিরিয়া পুনরায় পরস্পরের দেশে দূতাবাস খুলতে একমত হয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়া সংকট শুরু হয়। সউদী আরব সিরিয়া সরকারের বিরোধিতা করার কারণে দু’দেশের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১২ বছর পর দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সিরিয়া হয়তো আরব অঞ্চলের বড় পরিবারে ফিরে যাবে।
আর তুরস্ক ও মিশরের সম্পর্কও উষ্ণ হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি খুব জটিল, শান্তি প্রক্রিয়া সহজ ব্যাপার নয়। অনেকেই মনে করে, এটা হল অভ্যন্তরীণ ও বাইরের উপাদানের যৌথ ফল। এর মধ্যে চীনের ন্যায়সঙ্গত অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের আস্থা যুগিয়েছে। চীনের উত্থাপিত বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সমাজ স্বাগত জানিয়েছে। মূল কথা হল, চীন মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও উন্নয়ন প্রবণতাকে সম্মান করে। চীন অব্যাহতভাবে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করবে এবং সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহযোগী হবে।