ইহুদিরা যেভাবে পুরো ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করছে
এই জায়গাটিতে যা ঘটছে তা নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক, অন্তত এই একটি বিষয় নিয়ে কেউই দ্বিমত করবেন না। আর তা হলো- বসন্তকালে এখানকার দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাঝখানেই এই পাথুরে-পাহাড়ি জায়গাটা বসন্তকালে একেবারে সবুজ হয়ে যায়। তার মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে চড়াই-উৎরাই হয়ে চলে গেছে রাস্তাগুলো। পরিষ্কার রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে এখান থেকে পূবদিকে তাকালে দিগন্ত বরাবর জর্ডান উপত্যকার পাহাড়গুলোও দেখা যায়।
কিন্ত এই প্রাকৃতিক দৃশ্য এখন বদলে যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি গ্রাম তুরমুস আইয়া থেকে গাড়িতে মাত্র কয়েক মিনিট দূরের পথ আবু খালেদের খামার বাড়ি ।
আবু খালেদের বয়স ৬৫। তিনি এখানে আছেন ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। তার বাড়ি থেকে চার পাশে তাকালে পরিবর্তনটা স্পষ্ট বুঝা যায়।
তার খামারের চারপাশের উঁচু পাহাড়গুলোর ঢালে এখন দেখা যায় অনেকগুলো ইসরাইলি বসতি।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এগুলোকে অবৈধ বসতি মনে করা হয়।
তবে আবু খালেদের খামারবাড়ির চারপাশে যে বসতিগুলো আছে- তার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলো এমনকি ইসরাইলি আইনেও অবৈধ।
এগুলোকে বলা হয় ‘আউটপোস্ট’ এবং ইসরায়েল সরকারের অনুমোদন ছাড়াই এগুলো তৈরি হয়েছে।
ভয়ে ঘুমোতে পারেন না আবু খালেদ
আবু খালেদ বলছিলেন, এখানকার ইসরাইলি বাসিন্দারা শুধু এখানে বসতি গেড়েও সন্তুষ্ট নয়। তারা আরো চায়।
তারা চায়, আবু খালেদ যেন এখান থেকে চলে যান।
আবু খালেদ আমাকে দেখাচ্ছিলেন, সম্প্রতি তার বাড়িতে যে আক্রমণ করা হয়েছে তার কিছু চিহ্ন। জানলার কাচ ভাঙা, পাথর ছুঁড়ে ভেঙে দেয়া সোলার প্যানেল, গাড়ির ক্ষতিসাধন।
‘প্রতি রাতে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত আমি ঘুমাই না’ বলছিলেন তিনি। ‘আমাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিরা তারাও ঘুমায় না। সর্বক্ষণ তারা আছে ভয়ের মধ্যে।’
বর্তমানে পশ্চিম তীরকে মনে করা হয় এমন একটি জায়গা যা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।
কিন্তু এখানকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের যার সাথেই আমাদের কথা হয়েছে, তাদের সবাই মুখেই শোনা গেছে একই কথা- ‘ইসরায়েলি সৈন্যরা শুধু বসতিস্থাপনকারীদেরই সাহায্য করে, এমনকি যারা এখানে নানারকম সমস্যা সৃষ্টি করছে- তাদেরকেও।’
‘অস্ত্র হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত’
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি তাদের বিরূপ মনোভাব ক্রমশই বাড়ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে কারো মুখেই এই কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে একটা ভালো কথা শোনা যায় না।
বাস্তবতা হচ্ছে- কিছুদিন আগে রামাল্লাভিত্তিক জনমত যাচাইকারী খালিদ শিকাকির এক জরিপে এই প্রথমবারের মতো দেখা গেছে, সামান্য ব্যবধানে হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিনিরা মনে করেন যে- আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ না থাকলেই বরং তারা ভালো থাকতেন।
তুরমুস আইয়া অপেক্ষাকৃত ধনী এলাকা এবং এখানকার একজন কাউন্সিলর নুসেইবা আল-নিসওয়ান বলছিলেন, এখানকার বাসিন্দাদের ৮০ শতাংশেরই মার্কিন নাগরিকত্ব আছে।
কিন্তু এখানেও লোকজনের সাথে কথা বললে দেখা যায়- তারা মনে করেন যে একটা তৃতীয় ইন্তিফাদা বা ‘গণঅভ্যুত্থান’ এখন অবধারিত।
মুহানাদের বয়স এখন ৩১। তিনি যখন টিনএজার ছিলেন, তখন পাথর নিক্ষেপের দায়ে আটক হয়ে কয়েক মাস ইসরাইলের কারাগারে কাটিয়েছেন।
তিনি ও তার বন্ধুরা সবাই এখন অস্ত্র হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত, বলছিলেন মুহানাদ।
‘এখানে কেউ আমাদের সুরক্ষা দিচ্ছে না। ফিলিস্তিনিদের- যাদের বন্দুক আছে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। আর এখানে প্রায় সবার কাছেই বন্দুক আছে,’ বলেন তিনি।
তবে মুহানাদ বলছিলেন, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগেকার ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে যে ইসরাইলিরা থাকে তাদের ওপর আক্রমণকে তিনি সমর্থন করবেন না।
‘কিন্তু এই বসতিস্থানকারীরা? আমাদের শত্রু ওরাই।’
ইজরেল মেদাদ
তুরমুস আইয়ার কয়েক কিলোমিটার দূরে শিলোহতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকেন প্রথমদিকের বসতিস্থাপনকারী ইজরেল মেদাদ। এটি মোটামুটি একটা ছোট শহরের মতো, এখানে আছে সুপার মার্কেট ও বাস সার্ভিস।
মিশুক ও হাসিখুশি মেদাদ ইংরেজি বলছিলেন, নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকা টানে। তার বয়স এখন ৭০-এর কোঠায়।
তিনি বলছিলেন, তিনি অল্পবয়েসী ছেলে-ছোকরাদের সহিংসতা একেবারেই অনুমোদন করেন না।
‘এটা অন্যায় এবং এতে আমাদের জন্য ভালো কিছু হচ্ছে না।’
কিন্তু তার কথায় একটা ‘যদি’ আছে।
মেদাদ বলছেন, এমনিতে ইহুদি সহিংসতা বলে কিছু নেই। যদি আরব সন্ত্রাস না থাকতো, আরব অনুপ্রবেশ না থাকতো, তাহলে ইহুদিদের দিক থেকে কোনো দায়িত্বহীন এবং অবৈধ পাল্টা জবাবও থাকতো না।
তিনি চান যে তরুণ প্রজন্মের ছেলেরা বয়স্কদের কথা শুনুক।
‘কিন্তু আমাকে এটা বলতেই হবে যে ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাস সত্ত্বেও যদি ইউরোপ ও বাকি বিশ্ব তাদের পক্ষে থাকে- তাহলে অল্প কিছু ইহুদি তরুণের সহিংস কার্যকলাপের কারণও তারা বুঝতে ও সহ্য করতে পারবে।’
অনুমোদনহীন ইহুদি বসতি- যার নাম ‘আউটপোস্ট’
একটা উঁচু জায়গা থেকে ইজরেল মেদাদ আমাকে দেখাচ্ছিলেন দূরে আউটপোস্টের সারি।
এই আউটপোস্টগুলো হচ্ছে অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট ইহুদি বসতি।
এগুলো সরকারিভাবে অনুমোদিত নয়। এগুলোকে বলা হয় শিলোহ ব্লক, যা পশ্চিম তীরকে দুভাগ করে ফেলতে চাইছে।
এই আউটপোস্টগুলোতে যারা থাকে – তারা আরো বেশি কট্টরপন্থী বলে পরিচিত। এদের মধ্যে আছে অপেক্ষাকৃত কমবয়েসী বসতিস্থাপনকারী এবং তারা ইহুদি মতবাদে অধিকতর উদ্বুদ্ধ। তারা অনেকে প্রথমদিকে মোবাইল হোম বা অস্থায়ী আবাসন দিয়ে এখানে থাকা শুরু করেছিল- যাতে তেমন কোনো সুযোগসুবিধাও ছিল না।
আদেই আদ এমন একটি বসতি- যা সরকারিভাবে ইসরাইলি বসতি নয়। কিন্তু তারা গত ২৫ বছর ধরে এখানে থেকে শিকড় গজিয়েছে। এখন এ জায়গাটিতে থাকে ৫০টি পরিবার।
এই এলাকাটি বাইবেলের যুগের নানা পুরাকীর্তিতে সমৃদ্ধ। এখানে পর্যটকদের জন্য গাইডের কাজ করেন রাহেল। তিনি পাঁচ ছেলে-মেয়ের মা।
রাহেলের সাথে কথা হচ্ছিল তার ছোট গেস্ট হাউসটির বারান্দায় বসে। তিনি এটিকে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকেন। ইসরাইলের নানা প্রান্ত থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও লোকে এখানে বেড়াতে আসে বলে তিনি জানালেন।
আমাদের সদ্য তৈরি করা চকলেট ব্রাউনি খেতে দিলেন রাহেল। তার এই ছোট বাড়িটা বড় চমৎকার।
বেডরুমের সাথেই নিজস্ব জাকুজ্জি বা বিশেষ ধরনের বাথটাবে গোসলের ব্যবস্থা, ছোট একচিলতে বাগান, তার ওপাশে দেখা যায় আঙুর, জলপাই আর ব্লুবেরির বিস্তীর্ণ ক্ষেত- যা এই বসতিস্থাপনকারীদেরই লাগানো।
আউটপোস্টগুলো ধীরে ধীরে বৈধতা পাচ্ছে
রাহেল বলছিলেন, ১৮ বছর আগে যখন তিনি এসেছিলেন, তার চেয়ে এখন জীবনযাপন অনেক সুন্দর ও সহজ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যে কোয়ালিশন সরকার এখন ক্ষমতাসীন -তাতে অত্যন্ত উগ্র জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় দলগুলো আছে।
কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন হবার অনেক আগে থেকেই এ জায়গাটা বৈধতা পেতে শুরু করেছে, উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, বলছিলেন রাহেল।
তার কথায়, এমনকি যারা এসব বসতিস্থাপনকারীদের চায় না- সেই ফিলিস্তিনিরাও এখন এসব উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে।
এখান থেকে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে গেলেই খানিক দূরে ফিলিস্তিনিদের গ্রাম।
‘আমার মনে হয় আমাদের আরব প্রতিবেশীরা এখন বুঝতে পারছে যে তাদের জীবন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে,’ বলছিলেন রাহেল, ‘এখন তারা বিদ্যুৎ, পানি ও রাস্তাঘাট পাচ্ছে। যা আগে তাদের ছিল না।’
হিব্রু ভাষায় ‘আদেই আদ’ কথাটির মানে হচ্ছে ‘চিরকালের জন্য’।
এখান থেকে গাড়ি চালিয়ে গেলে অল্প দূরেই আরেকটি আউটপোস্ট আছে। সেটিরও একটি আধ্যাত্মিক নাম দেয়া হয়েছে – কিন্তু এর অর্থ আরেকটু কঠোর।
‘এশ কোদেশ’ মানে হচ্ছে ‘পবিত্র আগুন’।
‘বালিশের নিচে বন্দুক নিয়ে ঘুমাই’
এখানে গত আড়াই বছর ধরে থাকছেন মোশে ওরেফ নামে এক যুবক।
তিনি এসেছেন জেরুসালেম থেকে। তার এখানে আসার কারণ দুটি।
একটি হলো- ইহুদি ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত ইসরাইল নামের প্রাচীন এই ভূমিতে বাস করা। তা ছাড়া, এখানে থাকার খরচ অনেক কম, এটাও স্বীকার করলেন তিনি।
‘তবে এখানে থাকার যে মূল্য আমাকে দিতে হচ্ছে তা হলো নিরাপত্তা। আমি আমার বালিশের নিচে বন্দুক নিয়ে ঘুমাই,’ বললেন তিনি।
বাইবেল থেকে শুরু করে অস্কার ওয়াইল্ড পর্যন্ত নানা উদ্ধৃতি দিয়ে মোশে ওরেফ আমার কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন যে এই ভূমিতে বসতিস্থাপন করার অধিকার আছে ইহুদি জনগণের।
পশ্চিম তীর যে বাইরের বিশ্বের চোখে একটি অধিকৃত এলাকা- তা তিনি অর্থহীন কথা বলে উড়িয়ে দিলেন।
তার কথায়, শিকাগো শহরের কিছু অপরাধীচক্রের কার্যকলাপ দিয়ে যেমন পুরো শহরটির বিচার করা যায় না- তেমনি ‘কয়েক ডজন যুবকের কর্মকাণ্ডের জন্য’ লাখ লাখ বসতি স্থাপনকারীর বদনাম করা চলে না।
কিন্তু নিকটবর্তী ফিলিস্তিনি গ্রাম জালুদের দিকে হাত তুলে দেখিয়ে এই মোশে-ই অন্যরকম একটা কথা বললেন।
‘আরবদের সাথে পশ্চিমা ভাষায় কথা বলে কোনো কাজ হবে না। ওরা কী আচরণ করবে- তার জন্য ওদের নিজস্ব রীতিনীতি আছে। এটা মধ্যপ্রাচ্য। আমাদেরও একই রকম আচরণ করতে হবে।’
আমাদের পাশে এই সময় একটা লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা জীপ এসে থামলো। গাড়ি থেকে নামলেন মেয়ার আয়াশ। তিনি এশ কোদেশ এবং আশপাশের অন্য আউটপোস্টগুলোর নিরাপত্তার তত্ত্বাবধান করেন।
তার কাঁধে ঝুলছে একটি এম-সিক্সটিন রাইফেল।
দাঁত বের করে হেসে মেয়ার আয়াশ বললেন, তার কাজটা খুবই সহজ-সরল।
‘আমরা সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করি, যাতে এখানে তারা ঢুকতে না পারে।’
ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরলে মেয়ার জোর দিয়ে বললেন, ‘বিশেষ কোনো ‘অমুক-তমুকের’ সাথে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সবাইকে সম্মান করি। আমরা সবাই মানুষ ও প্রতিবেশী, আমরা ভদ্র এবং নীতিবান।’
তবে এখানেও একটা ‘যদি বা কিন্তু’ আছে।
মেয়ারের কথায়- ‘আরবরা যদি এসে হয়রানি করে, আগুন লাগায় বা খারাপ কিছু করে তাহলে এখানকার লোকরাও ধৈর্য হারিয়ে ফেলতে পারে, প্রতিশোধ নিতে পারে।’
তিনি মনে করছেন, এখন যে নতুন সরকার এসেছে তার উগ্রজাতীয়তাবাদী মন্ত্রীদেরই এখন দায়িত্ব পশ্চিম তীরের প্রশাসন এবং পুলিশি ব্যবস্থা পরিচালনা করা। তার মতে এর একটা ভালো দিকও আছে।
‘ফিলিস্তিনিদের জন্য এটা ভালো হবে যখন তারা দেখবে যে কারা এই এলাকাটা শাসন করছে। তারা সীমারেখাটা বুঝবে, দুই পক্ষের জন্যই সবকিছু অনেক স্পষ্ট হয়ে যাবে’, বলেন তিনি।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা এসব বসতি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে।
বিশেষ করে জেরুসালেমে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসায় ইসরাইলি পুলিশের অভিযানের পর উত্তেজনা, সহিংসতা ও প্রাণহানি আরো বেড়ে গেছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অতীতে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি পশ্চিম তীরকেও ইসরাইলের মানচিত্রে ঢোকাতে চান।
বিবিসির বিশ্লেষক সেবাস্টিয়ান আশার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা হয়তো নেতানিয়াহুকে আরো বেপরোয়া করে তুলেছে। ট্রাম্প প্রশাসন জেরুসালেমকেও ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পশ্চিম তীরে থাকেন প্রায় ২৫ লাখ ফিলিস্তিনি। যে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন ফিলিস্তিনিরা, সেটি হওয়ার কথা পশ্চিম তীর এবং গাজা ভূখণ্ড নিয়ে, আর তার রাজধানী হওয়ার কথা পূর্ব জেরুসালেম।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা পশ্চিম তীরে ১৪০টি বসতি তৈরি করেছে ইসরাইল, যেখানে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদি বসবাস করেন।
এসব বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ কিন্তু ইসরাইল তা মানে না।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন যেকোনো শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিতর্কিত একটি ইস্যু হচ্ছে পশ্চিম তীরের এসব ইহুদী বসতি।
ফিলিস্তিনিরা মনে করেন, এই ইহুদী বসতিগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা এবং এগুলোকে অপসারণ করতে হবে।
কিন্তু এসব উপেক্ষা করে পশ্চিম তীরে নতুন নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণ চলছেই।