মানবাধিকার লঙ্ঘন কারীদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম কঠোর আইন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র প্যাটেল ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ব্রিফিংয়ের সর্বশেষ অবস্থান তুলে ধরার সময় তার এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
মানবাধিকার লঙ্ঘন কারীদের জবাবদিহি করতে হবে বলে আবারো উল্লেখ করে বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘বিস্তৃতভাবে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নীতিকে সমর্থন করে; তবে আমি এখানে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দল বনাম অন্য রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করতে আসিনি।’
প্যাটেল বলেন, ‘এটি আমাদের অনেক আশা যে বাংলাদেশ সরকার এই নিবন্ধ এবং ভিডিওর বিষয়বস্তু (র্যাবের উপর ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি) খতিয়ে দেখবে।’ তিনি জানান যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন অনুসারে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম কঠোর আইন।
প্যাটেল বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬২ নম্বরে স্থান দিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় অবস্থান ১০ কমেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এই আইন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ বেশ স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছি। একটি মুক্ত সংবাদপত্র এবং একজন সচেতন নাগরিক যে কোনো জাতি এবং এর গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যাটেল বলেছে যে তারা বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর করতে চায় এবং অপেক্ষা করছে। সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠক করেছেন।
বেদান্ত প্যাটেল আরো বলেন, ‘আমরা আবারো সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি।’