শিগগিরই বিদ্যুৎ-চালিত যান চালু করবে সরকার : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের শিগগিরই দেশে বিদ্যুৎ-চালিত মোটর গাড়ি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আজ নগরীর একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা সম্বলিত ১০০টি ডাবল ডেকার ইলেকট্রিক বাস নিয়ে আসছি।’ ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইএসসিএপি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ‘এশিয়া ও প্যাসিফিকে বৈদ্যুতিক গতিশীলতায় উত্তরণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে উপ-আঞ্চলিক সভা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকারি প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) চলতি বছরের শেষের দিকে রাস্তায় চলাচলের জন্য ডাবল-ডেকার বাসগুলো নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, এর মধ্যে ৮০টি বাস রাজধানীতে এবং বাকি ২০টি চট্টগ্রাম শহরে চলাচল করবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান ও বিশ্বব্যাংকের কোঅপারেশন ম্যানেজার দন্দন চেন।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হল- এশিয়া প্যাসিফিক ইনিশিয়েটিভ অন ইলেকট্রিক মোবিলিটি, স্বল্প কার্বন নিঃসরণে আঞ্চলিক সহযোগিতা মেকানিজম, এবং নির্দেশিকা, কেস স্টাডি এবং উপ-অঞ্চলে প্রযোজ্য ব্যবসায়িক মডেলের মতো বিভিন্ন ইভি জ্ঞান পণ্য, বাংলাদেশে ও বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক মোবিলিটি প্রসারে বিশ্বব্যাংকের প্রচেষ্টা প্রচার ও আলোচনা, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বৈদ্যুতিক গতিশীলতায় রূপান্তর ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে উপ-অঞ্চল ও বাংলাদেশে ইভি উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং উপ-অঞ্চল ও বাংলাদেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বৈদ্যুতিক গতিশীলতায় রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে নীতিগত সুপারিশ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনা।
কর্মশালার প্রথম দিনে চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনটি বৈদ্যুতিক গতিশীলতা বিষয়ে বিদ্যমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অভিজ্ঞতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গতিশীলতায় রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইএসসিএপি পরিবহন বিভাগের মদন বি রেগমি পরিবহন নীতির আঞ্চলিক ওভারভিউ এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বিদ্যুতায়নের বিবরণ তুলে ধরেন, অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের প্রধান পরিবহন বিশেষজ্ঞ জেরাল্ড পল অলিভিয়ার বাংলাদেশে ই-মোবিলিটির অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যাংকের আরেকজন বিশেষজ্ঞ মানশা সেহগাল ভারতে ইভি ট্রান্সফরমেশন: ইভি গ্রহণ ত্বরান্বিত করার পদ্ধতিগত অ্যাপ্রোচ উপস্থাপন করেন।
এসএমএমআর প্রকল্পের প্রতিনিধি, জিআইজেড জোয়াকিম বার্গারহফ প্রথম এবং শেষ-মাইল সংযোগের দক্ষতা উন্নত করতে হালকা বৈদ্যুতিক গাড়ির বিদ্যুতায়ন এবং প্রি-ট্রানজিট সম্পর্কে দর্শকদের অবহিত করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র ম-ল, ওয়ালটনের নাজমুস সায়াদাত, সোলশেয়ারের সালমা ইসলাম, রানার গ্রুপের আমিনুর রহমান এবং বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজের মীর মাসুদ কবির ইভি এবং এর কার্যকারিতার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা দেশে ইভি নীতি, নির্দেশনা, প্রভাব ও প্রণোদনা এবং ট্যাক্স হলিডেগুলোও তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যাংকের ফাদিয়াহ আছমাদি অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং পরে গণপরিবহন বিদ্যুতায়ন: নীতি-চালিকা শক্তি, চ্যালেঞ্জ এবং এর সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।