টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল:হেড-স্মিথের ব্যাটিং বীরত্বে প্রথম দিনটা অজিদের
আক্ষেপ গোছানোর মিশনে শুরুটা প্রত্যাশামতোই হয়েছিল ভারতের।ওভালের বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে গুরুত্বপূর্ণ টসে জিতে অস্টেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান রোহিত শর্মা।উসমান খাজাকে ০ রানে ফিরিয়ে তার নেওয়া সিদ্ধান্তে সঠিকতা প্রমাণ করেন মোহাম্মদ সিরাজ।ওয়ার্নার-লাবুশানের ৬৯ রানের জুটিতে আজিরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে অজিরা।
তবে পাঁচ রানের ব্যবধানে দুইজনকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত।৭৬ রানে ৩ উইকেট তুলে রোহিত শর্মারা তখন অজিদের উপর আরও চাপ বাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর।তবে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি।
ম্যাচে এরপরের চিত্রনাট্য লিখেছেন কেবল দুইজন।স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেড।দুইজনে মিলে আক্রমণ-রক্ষণের দারুণ মিশেলে গড়ে তুলেন অনবদ্য এক জুটি।দিনের বাকিটা সময়ে ভারতের সব বলার সমানে চেষ্টা করেও এই দুইজনকে উইকেট থেকে আলাদা করতে পারেননি।চতুর্থ উইকেটে ২৫১ রানের পার্টনারশিপে ভারত থেকে ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি অজিদের দিকে নিয়ে আসেন স্মিথ-হেড।দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২৭।হেড অপারজিত আছেন ১৪৬ রানে, স্মিথ ৯৫ রানে ব্যাট করছেন।
হেড ক্রিজে সেট হওয়ার পর থেকে ব্যাট চালিয়েছেন আগ্রাসী মেজাজে।রান তুলেছেন প্রায় বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।বিশেষ করে শেষ সেশনে ছিলেন সবচেয়ে আক্রমণাত্মক, চা বিরতি থেকে ফিরে প্রথম ১৭ বলেই তুলে ফেলেন ৩২ রান!একটু পরেই গড়েন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ফাইনালে প্রথম খেলোয়ার হিসেবে শতক হাঁকানোর কীর্তি।ওভালে হেড তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটিকে দিন শেষে টেনে নিয়েছেন ১৪৬ পর্যন্ত।
অন্যদিকে দেখেশুনে ব্যাটিং করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অজিদের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।১৪৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করা স্মিথ নিজের ৩১ তম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র পাঁচ রান দূরে আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষ):
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ৩২৭/৩ (হেড ১৪৬*, স্মিথ ৯৫*, ওয়ার্নার ৪৩; সিরাজ ১/৬৭, শার্দূল ১/৭৫, শামি ১/৭৭)