ইসরায়েলে এক আরব পরিবারের ৫ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
ইসরায়েলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। ইসরায়েলের নাজারাথ শহরের আরব অধিবাসীদের ইয়াফা আন-নাসিরিয়ে এলাকায় কার গাড়ি ধোয়ার দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক বছরের মধ্য এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, পক্ষ দুটি অপরাধী গ্যাং ছিল।
জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহতরা হলেন নাইম মারগিয়েহ, আবু নাইম মারগিয়েহ, ইলিয়াহ মারগিয়েহ, লুই আবু রাগেব এবং কিশোর আব্রাহিম শেহাদেহ (১৫)। এরা সবাই বাকরি পরিবারের অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত দুই বছরে বাকরি পরিবার ও প্রতিদ্বন্দ্বী খারিরি গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ইয়াফিয়া কাউন্সিল শোক ঘোষণা করেছে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম বলছে, দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে এমনটি হতে পারে। এদিকে ইসরায়েলি-আরবদের মধ্যে খুনের ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে। তবে ইসরায়েল সরকার এসব ঘটনা উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমি এমন ঘটনায় মর্মাহত এবং সরকার এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। আমি এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে, অপরাধমূলক সংগঠনের বিরুদ্ধে, এসব খুনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পুলিশের সহযোগী হিসেবে শিন বেটকে (বিশেষ নিরাপত্তা পরিষেবা) কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইসরায়েলের পুলিশ বাহিনী বলছে, অফিসারা ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে এবং সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এ ঘটনার আগের দিন নাজারেথের কাছের আরেকটি শহর কাফর কান্নায় তিন বছর বয়সী এক মেয়ে এবং তার আত্মীয় গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিল। পুলিশ ধারণা করেছিল, এটি অপরাধীদের বিরোধ।
ইসরায়েলের আরব সংখ্যালঘুরা জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। ২০২৩ সালেই ৯৭ আরব-ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই যুবক। তবে এর মধ্য অনেকেই অপরাধ, অবৈধ অস্ত্র ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে হত্যার শিকার হয়েছেন।
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপির বলেছেন, যে পরিমাণে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি নেতানিয়াহুকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।