ন্যাটোর বৈঠকের মুখে কিয়েভে ড্রোন হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ন্যাটো সামরিক জোটের নেতাদের সাথে দেখা করার কয়েক ঘন্টা আগে রাশিয়া কিয়েভ এবং অন্যান্য অঞ্চলে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো আক্রমণ চালিয়েছে। হামলায় কমপক্ষে ১৫টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। পাল্টা হামলা প্রতিরোধ করতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোও নিযুক্ত করা হয়েছিল।
ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বুধবার ভোরে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ইরানের তৈরি ‘শহিদ’ ড্রোনগুলির মধ্যে ১১টি ভূপাতিত করেছে, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে কিয়েভের দক্ষিণ-পূর্বে চেরকাসি অঞ্চলের সামরিক প্রধান ইহোর তাবুরেটস বলেছেন, ‘একটি কঠিন রাত… শত্রুরা ‘শহিদ’ দিয়ে আমাদের এলাকায় আক্রমণ করেছে।’
একটি অনাবাসিক অবকাঠামো সুবিধায় হামলা ও আগুনে দুইজন আহত হয়েছে, তাবুরেটস জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি যে মোট কতটি ড্রোন চেরকাসিতে চালু করা হয়েছিল এবং কতটি কিয়েভে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো এর আগে বলেছিলেন যে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ান ফেডারেশনের পূর্ণ-স্কেল আক্রমণের ৫০৪ তম দিনে’ বিমান হামলা হয়েছিল।
রাশিয়া ইরানের শহিদ ড্রোন দিয়ে মঙ্গলবার ভোরেও কিয়েভ এবং অন্যান্য স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছিল। ওয়াশিংটন, ডিসি-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) বলেছে যে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ২৮টির মধ্যে ২৬টি শহিদ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের মতে, রাশিয়ান ড্রোনগুলি ওডেসা অঞ্চলের বন্দর অবকাঠামো এবং একটি শস্য টার্মিনালেও আক্রমণ করেছে।