বিয়ের আগে সোফিকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার বুধবার (২ আগস্ট) বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই সোফির প্রেমে পড়েছিলেন ট্রুডো। সেই ভালোবাসা দীর্ঘদিন পর পরিণতি পায় প্রেমে। শেষ পর্যন্ত ১৮ বছর একসঙ্গে সংসার করার পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন তারা। তবে বিচ্ছেদের আগে অবশ্য ট্রুডো ও সোফির বিষয়ে তেমন কোনো খবর শোনা যায়নি। এমনকি দুই জনে বিচ্ছেদের বার্তাও দিয়েছেন সাবলীলভাবে। দুই জনের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দুটোই ছিল বিচ্ছেদের বার্তায়।
তবে ট্রুডো-সোফি সত্যিকার অর্থে পরস্পরকে ‘জানেন-বোঝেন’ দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর। ২০০৩ সালে ট্রুডো ও সোফি একসঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সে সময় তারা একে অপরের সঙ্গে ‘নতুন’ করে পরিচিত হন। তখন তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর ট্রুডোকে ইমেইল করেন সোফি।
ইমেইলে সোফি লিখেন, ‘ট্রুডোর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারটি তিনি উপভোগ করেছেন। কিন্তু সোফির এই ইমেইলের কোনো জবাব দেননি ট্রুডো।’
একই বছরের গ্রীষ্মের শেষ দিকে সড়কে ট্রুডো-সোফির দেখা হয়। এই দেখায় ট্রুডোকে উপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন সোফি। তবে এবার সোফিকে ট্রুডো তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সোফি তখন বলেছিলেন, ‘ট্রুডোর যদি সত্যিই তার (সোফি) সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে তিনি যেন তাকে (সোফি) সেই ইমেইলের জবাব দেন।’
প্রথম সেই ডেটে সোফিকে ট্রুডো বলেছিলেন, ‘তিনি তার বাকি জীবন সোফির সঙ্গে কাটাতে চান।’ ট্রুডো জানান, এ কথা বলার পর তারা দুজনই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কারণ, তারা দুজনই খুব সংবেদনশীল মনের মানুষ।
এর এক বছরের বেশি সময় পর সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। ২০০৫ সালের ২৮ মে তারা বিয়ে করেন। সংসার শুরু হয়। দীর্ঘ দেড়যুগে তাদের সংসার আলো করে আসে তিন সন্তান। কিন্তু জীবনের এই পর্বে এসে সেই প্রতিশ্রুতির ইতি টানলেন ট্রুডো-সোফি। সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে পারলেন না তারা। প্রথম ডেটের সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে আলাদা হয়ে গেলেন আলোচিত এই দম্পতি।