ট্রেন দুর্ঘটনায় পাকিস্তানে নিহত অন্তত ২০
পাকিস্তানের করাচি থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাহারা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আজ রবিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ যাত্রী নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা যায়। হাভেলিয়ানগামী হাজারা এক্সপ্রেসের প্রায় ১০টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।ট্রেন দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয় পাকিস্তানে।
কারণ বেশ কয়েকটি ঘটনায় অনেককে আহত করেছে, শত শত লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।ট্রেন দুর্ঘটনার পর সিন্ধুর অভ্যন্তরীণ জেলাগুলোতে সেখান থেকে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়। এতে বড় ধরনের সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে,জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে রেলপথগুলো চলাচল উপযোগী করতেও সময় লাগবে। এর আগে লাইনচ্যুত বগিগুলো সরাতে হবে।নবাবশাহ পিপলস মেডিক্যাল হাসপাতালে আহত যাত্রীদের স্থানান্তর করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে, কারন ট্রেনটি বিপুলসংখ্যক লোক বহন করেছিল।তবে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি।সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ জানিয়েছেন, ৭২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্ট্যান্ডার্ড কোচে ১৭টি বগি রয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনটির ইকোনমি ক্লাসে ৯৫০ যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। সাংঘার জেলায় করাচি থেকে হাভেলিয়ান যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরো জানান, চার জেলার পুলিশ সুপার (ডিএসপি), উদ্ধারকাজে ১০ জন স্টেশন হাউস অফিসার এবং শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সেখানে বিপুলসংখ্যক সদস্যও উপস্থিত রয়েছেন।দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল আসিম মুনিরের বিশেষ নির্দেশ জারি করার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীও এ দুর্ঘটনাস্থলের কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত বগি থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য। স্থানীয় প্রশাসনের মতে, দুর্ঘটনার পর আশপাশের হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ফেডারেল রেলওয়ে ও বিমান পরিবহন মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ কেউ এ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আবার এটি যে কেনো সময় যান্ত্রিক ত্রুটিও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা ত্রাণ সরবরাহ করব। তারপর তদন্ত করব।’ এ ছাড়া সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
প্রসঙ্গত পাকিস্তানের ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একটি খারাপ রেকর্ড রয়েছে। গত এক দশকে দেশটি বেশ প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।